নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রনজিত সরকার বলেছেন, কোতোয়ালী এলাকার বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টারের দোকানগুলো একটি সন্ত্রাসীচক্র দখল করে রেখেছে, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দোকানগুলো দীর্ঘদিন তারা দখল করে আমরা প্রকৃত মালিকেরা দোকানগুলোতে উঠতে পারছি না। ঐ সন্ত্রাসীরা আমার দোকানগুলোতেও গেইট দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। যাতে আমি দোকানগুলোতে ঢুকতে না পারি। দোকানঘর বুঝে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেও কোন ফল না পাওয়ায় আজ আমরা বিক্ষোভ করছি। আপনারা মিডিয়া জনগণের কথা বলে। মিডিয়া সত্যের কণ্ঠস্বর, সত্য উদঘাটন করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার আহবান জানাচ্ছি।
বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে আজ ১০ আগস্ট বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনজিত সরকারের নেতৃতে প্রকৃত মালিক গণ ভূমিদস্যুর হাত থেকে দোকান নিজেদের দখলে নেয়ার জন্য মার্কেটে উপস্থিত হলে ভূমিদস্যু এসি শাহাআলম, শাহেনেওয়াজ রফিক তাদের লালিত গুন্ডা বাহিনী দিয়ে প্রতিরোধ করে এক পর্যায়ে শাহআলম এর শালা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন সোহানকে মারধর করে পরে সেনাবাহিনী আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সভাপতি রনজিত সরকার বলেন দুই বছর ধরে প্রকৃত মালিক গণ এসি শাহাআলম ও শাহনেওয়াজ গং এর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে ক্রয় করা দোকান দখল করে আছে প্রকৃত মালিক গণ মার্কেটে আসলে কাউকে ঢুকতে দেয় না এমতাবস্থায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে চিন্তা করেছিলেন সেনাবাহিনী যেহেতু মাঠে আছে হয়ত পূর্বের মত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হবে না দুঃখের বিষয় হলো বিএনপির কয়েকজন নেতাকে টাকার বিনিময় ব্যাবহার করে আজকেও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে।
রনজিত সরকার আরও বলেন আদৌ কি স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক প্রশ্ন রাখলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সদস্যদের প্রতি। সহযোগিতা চাইলেন নতুন সোনার বাংলা গড়ার সকল বিপ্লবী নেতাদের। সহযোগিতা চাইলেন নব গঠিত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি।
বিক্ষোভ সমাবেশে রনজিত সরকার আরো বলেন, রেলওয়ে মেন্স দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা তাদের দোকান বুঝে নেয়ার জন্যই আজ এসেছে। আজ ১৬ টি বছর একটি চক্র আমাদের দোকানগুলো বুঝে না দিয়ে দখল করে রেখেছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অতীতেও অন্যায় ও জোর জুলুম করে মানুষকে হয়রাণী করেছে এখন আমাদের ন্যায্য পাওনা দোকান পেতেও বাধা সৃষ্টি করছে।
আমরা বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার মার্কেট হতে দোকানদারগণ দোকান খরিদ করি। উক্ত খরিদা দোকান দীর্ঘ বছর যাবৎ সন্ত্রাসীরা সিন্ডিকেট করে বিগত সরকারের দোহাই দিয়ে আমাদের প্রায় ৩০০ হতে ৪০০ দোকান গৃহাদী জবর দখল করে রেখেছে। অথচ আমরা দোকান মালিকগণ বৈধভাবে খরিদ মতে আমাদের নামে রেলওয়ে মেন্স স্টোর এর নির্বাহী প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন আমাদেরকে দীর্ঘ মেয়াদী লিস্ট প্রদান করেন। আমরা দোকান মালিকগণ বৈধভাবে খরিদদার হলেও আমাদের দোকান গৃহাদী সন্ত্রাসীরা সিন্ডিকেট করলেও বর্তমানে অপরিচিত আরো কতেক সন্ত্রাসী বাহীনি মার্কেটে সম্মুখে তৈরি করে রেখেছে যাতে আমরা দোকান মালিকগণ আমাদের খরিদা দোকানে গেলে তারা মারমূখী আচরণ করে। আমরা দোকান মালিকগণ প্রকৃত মালিক হতে দীর্ঘ মেয়াদী লিজ প্রাপ্ত হলেও এই সব সন্ত্রাসী দ্বারা আমাদের দোকানের দখল করায় তাদের কবল হতে আমাদের দোকান গৃহাদী যথাযথ আইনানুগভাবে এবং কাগজপত্রের আলোকে সন্ত্রাসীদের কবল হতে উদ্ধার করা একান্ত আবশ্যক বলে আমরা মনে করি।