নিউজগার্ডেন ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে একটি দুর্নীতিবাজ চক্র চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নাম ভাঙিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করে চলছিল। চক্রটি সাংবাদিকতার আড়ালে প্রেস ক্লাবের মতো একটি পবিত্র জায়গায় হাউজি ও মাদকের আখড়া বসান। অসহায় সাংবাদিকের নামে বরাদ্দ সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করে বঞ্চিত করা হয় প্রকৃত সাংবাদিকদের। প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণের নামে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি করে সদসদের কাছে হিসাব দেয়নি। সাংবাদিকতাকে ঢাল করে স্বৈরচারী কিছু দুর্নীতিবাজ সাংবাদিক এখন কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক।
চক্রটি পরিকল্পিতভাবে পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য পদ রুদ্ধ করে রেখেছে যুগের পর যুগ। জাতীয় পত্রিকার অনেক ব্যুরোপ্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিকদের করা হয়নি সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য। এমনকি চট্টগ্রামের দৈনিক ও সাপ্তাহিক ২০টিরও বেশি নিবন্ধিত পত্রিকার সম্পাদকেরা পর্যন্ত হতে পারেননি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবরে সদস্য। আবার অনিয়ম, দুর্নীতি ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় অসংখ্য পেশাদার সাংবাদিককে ফাঁসানো হয় ডিজিটাল সিকিউরিটি ও মানহানি মামলায়। এসব মামলা দায়েরে অনেকক্ষেত্রে ইন্ধনদাতা খোদ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের দুর্নীতিবাজ প্রভাবশালীরা। এ অবস্থায় পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এখন সময়ের দাবি।
দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমজনতা ছাত্রদের পক্ষে থাকলেও বিপরীত অবস্থানে থাকেন বেশকিছু সাংবাদিক নেতা। এমনকি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও ইউনিয়নের কিছু সাংবাদিক ছাত্র-জনতাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে তালা লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় পেশাদার সাংবাদিকরা ছাত্র-জনতাকে সমর্থন দেয়। ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পেশাদার সাংবাদিকদের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার গণদাবি উঠে।
ছাত্র-জনতার পক্ষে চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য আহ্বায়ক দৈনিক আজকের প্রভাত ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি আলমগীর নুর ও সদস্য সচিব দৈনিক সকালের সিনিয়র রিপোর্টার নজরুল ইসলাম, সমন্বয়ক দৈনিক আমার সংবাদে আজিজুল হকসহ ১০১ জন পেশাদার সাংবাদিক রবিবার (১১ আগস্ট) এ বিবৃতি দেয়। যেখানে রয়েছেন চট্টগ্রামের দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার ২০ সম্পাদক, জাতীয় পত্রিকার ব্যুরোপ্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিকরা। বিবৃতিদাতারা অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ ও দালাল সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।