
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশ মুসলিম লীগ চট্টগ্রামের উদ্যোগে গতকাল ২১ আগস্ট (বুধবার) বিকাল ৫ টায় চেরাগী পাহাড়স্থ লুসাই ভবনে এম এ মতিনের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নাজমুল হাসান সেলিম, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার, আলহাজ¦ আবদুল আলীম, শেখ মুহাম্মদ সরওয়ার হোসেন, মো: ওবাইদুল্লাহ চৌধুরী, সৈয়দ আবদুল নোমান, সৈয়দ মো: মাহসার উল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন,ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে গেছে। একটি উন্নত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র জনতার স্থিতিশীল ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও আওয়ামী অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করতে মুসলিম লীগ সবসময় রাজপথে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। নতুন করে স্বাধীন হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল এক সাগর রক্তের বিনিময়ে। আর দ্বিতীয় স্বাধীনতাও অর্জিত হলো এক রক্ত নদী পেরিয়ে। স্বাধীনতার নামে যে সরকারটি গ্রহণ করেছিল ক্ষমতা, তা রূপান্তরিত হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রে। ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে পরাজিত সেই শক্তি দেশের উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে মুসলিম লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভ থাকতে হবে। এ ব্যাপারে মুসলিম লীগের নেতা-কর্মীদের সদা সজাগ থাকতে হবে। বক্তারা সংগঠনের কার্যক্রম আরো গণমুখী ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি বিগত ১৭ বছরে ক্রমশ গ্রাস করেছে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল মানুষের মৌলিক অধিকার। ছিল না জীবনের নিরাপত্তা, সম্পদের রক্ষা ও সম্মানের নিশ্চয়তা। একজন মানুষ হিসেবে এই তিনটি বিষয়ই সংবেদনশীল। মানবজাতি হাজার বছর ধরে সংগ্রাম করে অর্জন করেছে এ তিনটি অধিকার। আরেকটি অনিবার্য অধিকার হলো সম্মতির মাধ্যমে শাসন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সম্মতির ব্যবস্থা তথা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে নির্বাসন দিয়েছিল। গণতন্ত্রের বদলে কায়েম করেছিল দলতন্ত্র। বাংলাদেশ মুসলিম লীগকে গণমূখি করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।