ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে: ড. ওবায়েদুল্লাহ

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেছেন, ভালো মানুষ হিসেবে এবং একজন সত্যিকার মুসলমানকে জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত তওবার মধ্যে থাকতে হবে। আল্লাহর দেয়া সীমা রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। আইনজীবীদের মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে সবক্ষেত্রে। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে আইন অঙ্গনে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অটুট রাখতে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীল কর্মসূচি নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করতে হবে।
রবিবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আইনজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ এহতেশামুল হকের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমি (বিআইএ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী। সমাবেশে দারসূল কোরআন পেশ করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন চট্টগ্রাম দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা ও বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সাইয়্যেদ আবু নোমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এড. আরিফুর রহমান, এড. আব্দুল মালিক, এড. সামশুল আলম, এড. মিনহাজ উদ্দিন, এড. মোস্তফা গালিব, এড. জসিম উদ্দিন সরকার, এড. আবুল মোজাফ্ফর, এড. ফরিদুল আলম, এড. শাহজাহান ঠাকুর, এড. আবু তাহের, কাশেম মোল্লা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ আরও বলেন, সমাজের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধি বাড়াতে আইনজীবীদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনজীবীদের ব্যক্তি ইচ্ছা বা ভূমিকা অগ্রগণ্য। নিজ কাজের ওপর ভিত্তি করে একজন আইনজীবী সমাজের জন্য অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসেবে অধিষ্ঠিত হতে পারেন। নিজ পেশাকে ইবাদত হিসেবে নিলে সেই লক্ষ্য সহজে পূরণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ন্যায়-ইনসাফ তথা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই সবখানে আজ সাধারণ মানুষ জুলুমের শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজের মজলুম মানুষকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই জীবনই শেষ জীবন নয়, মৃত্যুর পরও দীর্ঘ একটি জীবন রয়েছে। ইহকালীন সাফল্য ও পরকালীন মুক্তির স্বার্থেই ইনসাফভিত্তিক ন্যায়বিচারের কাজে সকলের মনোনিবেশ করা উচিত।

মন্তব্য করুন