নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, সাবেক সংসদীয় দলের হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জননেতা শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, মানুষের এই দুঃসময়ে সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। বানবাসি মানুষ সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তাই সমাজের সকল বিত্তবান মানুষের উচিত সাধ্যমত তাদের পাশে থাকা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চেষ্টা করছে বন্যা কবলিত এ সকল মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে।
তিনি রবিবার ফেনী, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নূরুল আমিন, মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, ফেনী জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, সাবেক জেলা আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ফেনী জেলার নায়েবে আমীর মুহাম্মদ ইউসুফ, জেলা সেক্রেটারি আব্দুল হান্নান, সাতকানিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ফেনী জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবু বক্কর, বাহার উদ্দিন প্রমুখ।
ত্রাণ বিতরণকালে মহানগরীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, আমরা দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছি, কিভাবে একটা এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আমার মনে হয় বিগত একশ বছরের মধ্যে ফেনীতে যে বন্যার তা-ব আর কখনো এ রকম হয় নাই। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বাঁশখালীর ঘূর্ণিঝড় দেখেছি তার চেয়ে ভয়াবহ হয়েছে ফেনীর এবারের বন্যা। আজকে ফেনীর মানুষ পানিবন্দী। তাদের খাবার নাই, রান্নার জন্য আগুনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তিনি বানবাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বন্যার্তদের সাহায্যার্থে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ত্রাণ কমিটি গঠিত
ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, মিরসরাই, ফটিকছড়ি, হাটহাজারীসহ বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে একটি ত্রাণ কমিটি গঠিত হয়েছে।
মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী।
কমিটির পক্ষ থেকে ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ফেনী কলেজের আশ্রয়কেন্দ্র, ছাগলনাইয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চাল, ডাল, চিড়া, পিঁয়াজ, আলু, লবণ, পানির বোতল, বিস্কুট, চিনি, দিয়াশলাই ও মোমবাতি ইত্যাদি সামগ্রীর ১২০০ প্যাকেট, ৬০০ খাবারের বক্স ও কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।