নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার বৈলতলি ইউনিয়নে অবস্থিত জাফরাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল গফুরের বিরুদ্ধে অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী ও কর্মচারীরা অনাস্থা প্রকাশ করলে অধ্যক্ষ সাহেব অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ পত্র প্রদান করেন। পত্রটি মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চন্দনাইশ, চট্টগ্রামের নিকট প্রদান করা হয়। জাফরাবাদ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসাটি চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুপরিচিত ছিল।
২০১৩ সালে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর এ কে এম শামসুদ্দীন। সে ফ্যাসিবাদী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য ০১/০৬/২০১৩ তারিখে মোহাম্মদ আবদুল গফুরকে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদান করেন। তিনি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করেন। তৎকালীন সভাপতি এ কে এম শামসুদ্দিনের সাথে মিলেমিশে বিভিন্নভাবে মাদরাসার টাকা আত্মসাৎ করেন এবং শিক্ষকদের ফান্ডের প্রায় ১২০ মাসের বেতন বন্ধ করেন। ছাত্রদের উপর ফ্যাসিবাদী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জোর করা হয়। যেসব ছাত্র প্রতিবাদ করে তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন করেন এবং টিসি দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হওয়াতে দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্র ভর্তি হয়ে হোস্টেলে অবস্থান করলে কিছুদিন পর হোস্টেল থেকে বের করে দেন, যার কারণে ছাত্রদেরকে এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়। এছাড়া অর্থ আত্মসাৎসহ আরো বহু অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিলেন।
গত ২৫ আগস্ট’২৪ মোহাম্মদ আব্দুল গফুর অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার দায়িত্ব অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নূরুচ্ছফাকে মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দেন। পরে ছাত্র-শিক্ষক সবাই অধ্যক্ষ সাহেবকে সসম্মানে বিদায় দেন। অধ্যক্ষ সাহেব স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী এলাকার জনসাধারণ তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করেন।
ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারীর ও জাফরাবাদের জনসাধারণের মধ্যে এক অন্যতম আনন্দ পরিলক্ষিত হয়। যেহেতু মাদরাসায় বর্তমানে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ শূন্য তাই মাদরাসার সুষ্ঠু পরিচালনার লক্ষ্যে একজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রদান করার জন্য জাফরাবাদ এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চন্দনাইশ, চট্টগ্রামের নিকট অনুরোধ জানান।
