![](https://newsgarden24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: গত ১৭ বছরের ভোটবিহীন নির্বাচনের মেম্বারশিপ/ ভোটার তালিকা অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। এখানে মেম্বারশিপ সেকশনে যারা জড়িত ৬ থেকে ৭ বার এক্সটেনশন পাওয়া সহকারী সচিব সৈয়দ সালাউত উল্লাহ, এম এ লতিফ এর ম্যানেজার-সহকারী সচিব মাহবুব আলম, লতিফের পিয়ন রাজীব (প্রকিউরমেন্ট অফিসার), লতিফের ড্রাইভার বেলালের ছেলেকে অপসারণ করতে হবে।
এতে শুধু রাজস্ব সাশ্রয় হবে তা নয় কিছু অসৎ ব্যক্তি নির্মূল হয়ে চেম্বার কলঙ্কমুক্ত হবে। সেখানে নিরপেক্ষ দুইজনকে দিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধন এবং পকেট ভোটার বাদ দিয়ে সঠিক ভোটার তালিকা করতে হবে।
গত ১৭ বছরের সহযোগী বর্তমান চট্টগ্রাম চেম্বার সচিব ইঞ্জিনিয়ার ফারুক, সেন্টার অব এক্সেলেন্স এর ওয়াসি, একাউন্টস এর আনিসুল, শ্রমিকলীগের মতিন মাস্টারের ছেলে তারেক, লতিফের লোক রায়হান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক চেম্বারের জয়েন্ট সেক্রেটারি নুরুল আবছার চৌধুরীকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। এরফলে চেম্বার সংস্কারের প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তা বিঘিœত হবে না।
গত ১৭ বছরে ডাইরেক্টর হিসেবে যারা ইলেকশন করেছে তাদেরকে গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সবেক স্বৈরাচার সরকারকে নির্লজ্জ সমর্থন করার জন্য ডিটিও কর্তৃক তাদের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক হিসেবে একজন চেম্বার বিশেষজ্ঞ সচিব নিয়োগ করে তার তত্ত্বাবধানে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনে সাধারণ ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে (প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ) মেম্বার তালিকা সংযোজন সংবিয়োজন করতে হবে।
যোগ্য ব্যক্তি দ্বারা ইলেকশন বোর্ড ও আপিল বোর্ড গঠন করতে হবে। একজন ট্রেডবডি এক্সপার্ট আইন উপদেষ্টা নিয়োগের পরামর্শ বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সকল নিরীক্ষিত অডিটগুলো পুনরায় অডিট করতে হবে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর স্পেস ব্যক্তিগতভাবে ভাড়া ও তথাকথিত পোর্টে গ্রান্ডে ইউনিভার্সিটির নামে ভাড়া কতটুকু আদায় হয়েছে তা খতিয়ে দেখে ন্যায্য পাওনা বুঝে নিতে হবে।
সাবেক সভাপতি এম এ লতিফসহ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সচিব ইঞ্জিনিয়ার ফারুক চেম্বারের খরচে কতবার বিদেশ গিয়েছেন এবং ব্যক্তিগত কাজে কত টাকা ব্যয় করেছেন তার হিসাব খতিয়ে দেখতে হবে। শেখ হাসিনার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধন এর সময় সপ্তাহব্যাপী ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে, হোটেল আগ্রাবাদে, স্টেডিয়ামে, রাঙামাটিতে যে ব্যয় হয়েছে তার যথাযথ হিসাব দাখিল করতে হবে।
চেম্বারের যানবাহন /গাড়ি বিগত প্রেসিডেন্ট ও ডাইরেক্টরগণ কোন কোন কাজে কতবার ব্যবহার করেছেন এবং কত টাকা ফুয়েল খরচ হয়েছে তার লকবুকসহ পেশ করতে হবে। ফার্নিচার পিকচার ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ফার্নিচার পিকচার ক্রয় করার জন্য অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক টেন্ডার ক্রয় করা যায়।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক নসরুল কাদির চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাসান আরিফ, এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, ড্যাব মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়া পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কোর্ট বিল্ডিং শাখার সভাপতি আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মো. আলাউদ্দিন ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জালাল উদ্দিন পারভেজ।