
মোহাম্মদ হোসেন: আল্লাহ্ তা’আলার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি হলেন বিশ্ব শান্তি ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তাঁকে বিশ্ববাসীর জন্য সাম্প্র্্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার সুন্দরতম মডেল বিশ্ব শান্তি ও ঐক্যের প্রতীক এবং মানবতার মুক্তিরদূত হিসেবে প্রেরণ করেছেন।
ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এ পৃথিবীতে শান্তি, ঐক্য, মানবতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যতটুকু অবশিষ্ট আছে তা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবদান। পৃথিবীতে তিনিই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ মানুষ। কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য অনুপম আদর্শ। তাঁর অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে মনুষত্বের পূর্ণ মর্যাদা।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন ঃ “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহ্র রাসূলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ” এই আদর্শ অবলম্বনেই রয়েছে ইহকালীন শান্তি এবং পরকালীন মুক্তি।
মহানবী (সাঃ) জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, তা মুসলিম জাহানের সর্ববাদীসম্মত মত, পূর্বের নবী রাসুলগণ দেশ ও জাতি ভিত্তিক আর্বিভূত হতেন, কিন্তু আল্লাহ্ তা’আলা মহানবী (সাঃ) কে সমগ্র বিশ্বের মানব জাতির জন্য রাসূলরুপে পাঠিয়েছেন। আল কুরআনে তার স্পষ্ট প্রমান রয়েছে (আল-আরাফ : ১৫৮) তে আল্লাহ বলেন : “হে রসুল, আপনি বলুন, হে মানব জাতি আমি তোমাদের সকলের প্রতি আল্লাহর রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি”। তাই তিনি বিশ্ব নবী এবং তাঁর কর্মক্ষেত্র বিশ্বব্যাপী। আল্লাহ্ পাক তাঁকে সমগ্র বিশ্বের করুণা সরুপ প্রেরন করেছেন। সুতারাং তিনি সমস্ত মানব জাতির (অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ এবং কিয়ামত পর্যন্ত) সমস্ত মানব জাতির নবী হিসেবে সবাই তাঁরই উম্মত, বিধায় তাঁর জীবন আদর্শকে অনুসরণ করা অপরিহার্য।
অতএব সমস্ত মানব জাতি আল্লাহ্র নবীর আদর্শের অনুকরনেই একমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টি তথা মানব জাতির ইহকালের শান্তি ও পরকালের একমাত্র মুক্তি।
লেখক: মৌলভী আসাদ আলীর বাড়ি, সাবানঘাটা, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।