নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান সর্বাত্মক ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সিভাসু’র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এরপর শহিদ মিনারের সামনে তাঁরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই পর্যন্ত সিভাসু’তে সর্বমোট পাঁচ জন উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। আর পাঁচজনের মধ্যে চার জন উপাচার্যই ছিলেন সিভাসু’র অধ্যাপক। সিভাসু’তে বর্তমানে কর্মরত অনেক অধ্যাপক রয়েছেন যাঁরা শিক্ষা, দেশি-বিদেশি গবেষণা, প্রকাশনা, নেতৃত্ব ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এবং উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন।
বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান অচলাবস্থা নিরসনে অতি দ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সিভাসু’র বাইরে থেকে যদি উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে তাঁকে সিভাসু ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবেনা।
সমাবেশ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘বাইরের ভিসির ঠিকানা, সিভাসু’তে হবে না’, ‘নয়-ছয় বুঝিনা, বাইরের ভিসি মানিনা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। সিভাসু’র কোন যোগ্য অধ্যাপক ভিসি হয়ে সিভাসু’র বন্ধ গেটের তালা খুলবেন উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাহির থেকে কোন ভিসি নিয়োগ দেওয়া হলে তাঁর সাথে কথা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেইটের বাইরে।
সমাবেশে অনুষদীয় ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টরসহ সর্বস্তরের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: কামালের সভাপতিত্বে সাধারণ শিক্ষকদের এক সভা সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এবং সভায় উপস্থিত সকলে উপরোল্লিখিত দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন এবং ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ, সড়ক অবরোধ ও মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। শাটডাউনের কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো আজকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।