চট্টগ্রামে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে সাড়া ফেলেছেন সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: আগামীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বার্ষিক সম্মেলন। এরইমধ্যে এই সম্মেলনকে ঘিরে এখন উজ্জীবিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের নেতা কর্মীরা। ফলে ঝিমিয়ে পড়া নগর যুবদলে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয় পদ প্রত্যাশিরাও হয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীমুখী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পদ প্রত্যাশিরা ছুটছেন সাংগঠনিক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে।

তবে এবারে নেতৃত্বে বছাইয়ে তৃণমূলের কর্মীরা চাচ্ছেন ক্লিনিন ইমেজের নেতৃত্ব। সেই জায়গা থেকে এবার সাধারণ সম্পাদক পদে সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়াকে দেখতে চান নেতাকর্মীরা। কারণ অতীতে যে কোন সময়ে কর্মীদের সংকটময় সময়ে পাশে ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া।

অন্যান্য প্রার্থীদের অতীত নিয়ে অভিযোগ থাকলেও সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া এখনও ক্লিন ইমেজে রয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ডে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি তৃণমূল নেতাদের উজ্জীবিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ডের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা এবার সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়াকে সমর্থনের পাশাপাশি তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান।

মাঠ পর্যায়ের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, বিতর্কিত ব্যক্তিকে এবার যুবদলের নেতৃত্বে দেখতে চান না। তাদের প্রত্যাশা কর্মীবান্ধব স্মার্ট যুবনেতা। তারা মনে করেন, চট্টগ্রামে দলের অবস্থা ধরে রাখতে যারা নেতৃত্বে আসবেন তাদের মধ্যে ‘ভ্যানগার্ড’ হিসেবে কাজ করছেন সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের জন্য প্রয়োজন যারা দলের সম্পদ হবে তাদের। যারা দলের জন্য আপদ কিংবা বিপদ তাদের বিএনপি ও অঙ্গ – সংগঠনে কোনও প্রয়োজন নাই। তৃণমূল থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে উঠে আসা ছাত্রদলের সাবেক সোনালী ফসল সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান অনেক মেধাবী, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতা। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলে একটি সুশিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের কমিটি দেবেন বলে আমি আশাবাদী।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন দুজনেই সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন এবং সৎ মানুষ। তারা দুজনেই সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, ক্লিন ইমেজের নেতৃত্বের হাতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল তুলে দেবেন বলে তিনি ব্যপক আশাবাদী।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদে যদি সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া মনোনীত হন তাহলে তিনি একটি আধুনিক, শিক্ষিত, ক্লিন ইমেজের, দক্ষ, যুগোপযোগি, মেধাবী, প্রত্যুৎপন্নমতি, বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা দল হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল গঠন করবেন। চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলকে তিনি লোভ, হিংসা, অহংকারমুক্ত মানবিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলবেন। সাম্য, মানবিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় যুবদলকে বীর চট্টলায় ১ নম্বর সংগঠনে পরিণত করবেন। বীর চট্টলায় সুখ শান্তি প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল হবে অতন্দ্র প্রহরী।

তিনি আরো বলেন, আমি তৃণমূল থেকে আজ মহানগর যুবদলের নেতৃত্বে আছি। এবার মহানগর যুবদল যদি সঠিক নেতৃত্ব আসে, তাহলে এই যুবদল আরো শক্তিশালি হবে। অনেক গতিশীল হবে সংগঠন। আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হলে আমি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলকে একটি আইডল সংগঠন হিসাবে রুপান্তরিত করবো।

তিনি জানান, যুবদল আমার প্রাণের সংগঠন। আমি সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী, আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলকে মডেল ও স্বর্নিভর যুবদল করতে চাই। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলকে সুশৃংখল ও দায়িত্বশীল সংগঠন করতে চাই।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিগত দেড় যুগের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে উজ্জীবিত অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। সব মিলিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে।

কিন্তু দলের দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সহ যোগাযোগ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া। দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে ও দুঃসময়ে চট্টগ্রাম মহানগরের যুবদলের হাল ধরে মাঠে ছিলেন সক্রিয়। দলের বিভিন্ন দিবস, সভা-সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। এবার এই নেতাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা।

দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত ১৬ বছর দলের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে পাশে থেকে সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া দিয়েছেন সাহস। কারাবন্দি নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের দায়িত্বসহ দলের নেতাকর্মীদের কারামুক্তির ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। তিনি নিজেও ছিলেন অনেক বার কারাগারে।

এবার এই নেতাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। তাদের আশা দল থাকে নিরাশ করবে না দুঃসময়ের এই নেতাকে। আগামীতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দেখতে চান তারা।

এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করার পর আসন্ন কমিটির নেতৃত্বে আসার জন্য যুবদল নেতাকর্মীদের মাঝে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। আসন্ন কমিটিতে পদপ্রার্থীদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের আসন্ন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিবেদিতপ্রাণ যুবদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। ডিগ্রীধারী সাজ্জাদ হোসেন মহানগর যুবদল নেতা ও থানা বিএনপির গ্রহণযোগ্য নেতা হিসাবে রাজনীতি করে আসছেন।

তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মহানগর শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ এর সভাপতি , ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ যোগাযোগ সম্পাদক ও ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, যুবদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়ার বাবা সিরাজ উল্লাহ ভূঁইয়া ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার ও মা (প্রয়াত) আয়শা আক্তার সিরাজ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশরতœ, মান্যবর তারেক রহমানের সময়োপযোগী ও সৃজনশীল নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে বিএনপি ও তার অংগ সংগঠন গুলো। এসময়ে তারেক রহমান একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে যদি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাই, তাহলে আমার নিষ্ঠা, অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে দলকে দেশের সেরা যুব সংগঠন হিসাবে পরিচালিত করব। এব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত, মূল্যায়ন ও সহানুভূতি আশা করছি।

ক্লিন ইমেজ হিসেবে পরিচিত এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসবই পারিবারিক শিক্ষা। জীবনে যে কেউ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেতে পারেণ। বিবেক বোধ সম্পন্ন কোন ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদ আলোকিত। সেটা নির্ভর করে আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতধারার চর্চার কাছে। পারিবারিক শিক্ষা। জীবনে যে কেউ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেতে পারেণ। বিবেক বোধ সম্পন্ন কোন ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদ আলোকিত। সেটা নির্ভর করে আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতধারার চর্চার কাছে। সেই ধরনের একজন ব্যক্তিত্ব সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া।

মন্তব্য করুন