বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম: লাম ইয়ালিদ ওলাম ইউলাদ (সূরা ইখলাসের ৩য় আয়াত)
অর্থ: তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন।
ব্যাখ্যা: আলোচ্য আয়াতের মূল বক্তব্যের আলোকে কাফের ও মুশরিকেরা রাসুল (সা:) কে জিজ্ঞেস করতো আপনি তাদের সব মাবুদকে বাদ দিয়ে আপনার সেই রবকে একমাত্র মাবুদ মানবার চেষ্টা করছেন, তিনি কেমন? তাঁর বংশ পরিচয় কি? এই দুনিয়া তিনি কার কাছ থেকে ওয়ারিস হিসেবে পেয়েছেন। আর কে বা তাঁর ওয়ারিস হবে? এসব প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি আল্লাহ বস্তু পূজার সমস্ত বুনিয়াদকে ধ্বংস করে দিয়ে তার বাস্তব একত্ববাদের পরিচয় তুলে ধরে জানিয়ে দিলেন যে বংশ ওয়ারিস এসব মানুষের কর্মকান্ড বিধায় মানুষের জন্য মানন সই, সৃষ্টিকর্তার জন্য মানন সই নয়। তিনি আল্লাহ মানুষের সৃষ্টিকর্তা। যিনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টি সূত্রে মালিক এবং সমস্ত সৃষ্টি জগতের একমাত্র মাবুদ। তিনি সর্বক্ষেত্রে একক ও চিরন্তন একক সত্ত্বা।
উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে সর্ব প্রথম তিনি হযরত আদম (আ:) এবং হযরত মা হওয়া (আ:) কে সৃষ্টি করে তাদেরকে স্বামী- স্ত্রী হিসেবে বসবাস করার অনুমতি স্বাপেক্ষে মানুষ জন্ম দেয়া নেয়ার উপযোগী করে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জীবন পরিচালনা করার মধ্য দিয়ে তাদের মানুষ জন্ম দেয়া নেয়ার স্বক্ষমতার প্রক্রিয়ায় মহান আল্লাহতায়ালা তাদের মধ্য থেকে সর্ব প্রথাম মানুষ সুষ্টির কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁর সৃষ্টির এই কার্যক্রম কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সুতরাং মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের কর্মকান্ড হতে সম্পূর্ণমুক্ত এবং মহা পবিত্র। যিনি মানুষের সৃষ্টিকর্তা তথা সমগ্র সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিকর্তা ও মালিক। আলোচ্য আয়াতের ধারাবাহিকতায় তিনি আল্লাহ এই দুনিয়াসহ সমস্ত জগতের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে সৃষ্টির সূত্রে চিরস্থায়ী মালিক তথা সমস্ত সৃষ্টিজগতের সার্বভৌমত্বেরও মালিক যার ফলে, সমস্ত সৃষ্টি জগতের নিদর্শনে তার চিরস্থায়ী মালিকানার দলিল দৃশ্যমান ও অনুভূত।
লেখক: মোহাম্মদ হোসেন, মৌলভী আসাদ আলী বাড়ী, সাবানঘাটা, খাজা রোড, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।