নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক শাহেদ বক্স বলেছেন, ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতন হলেও দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। শেখ হাসিনার দোসরদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বিজয় ভূলুণ্ঠিত হয়ে যেতে পারে। আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখন সমাজে ও রাষ্ট্রের ভিতরে অবস্থান করছে। তারা গভীর রাতে জামাল খানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। প্রশাসন এখনো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। এই সব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করছেনা। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজকের এই বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনুন। অন্যথায় জনগনকে সাথে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা তাদের প্রেতাত্ত্বাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
তিনি শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে জামাল খাঁন ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় থেকে শুরু হয়ে চেরাগীর মোড়, প্রেস ক্লাব হয়ে ডা. খান্তগীর স্কুলের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মন্জুর রহমান চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা এখনো ধৈর্য্য ধারন করছি। আমাদের ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির দায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ও প্রশাসনকে নিতে হবে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এই শহীদদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
কোতোয়োলী থানা বিএনপির সভাপতি ও জামাল খাঁন ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মনজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিদারুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আবু মহসীন চৌধুরী, নূর হোসেন নুরু, মোহাম্মদ কামাল, নাজমুল হোসেন ফিরোজ, আব্দুল আহাদ স্বপন, হাসানুল করিম হাসান, দিদার ইসলাম, মো. সেলিম, দেলােয়ার হোসেন, ফারুক হোসেন স্বপন, মনজুর আহমেদ, মোহাম্মদ জিয়া, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আহমেদ, পারভীন আক্তার ফারহানা, প্রচার সম্পাদক পারভিন চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সাবেক কোশাধ্যক্ষ মো. হাসান, সহ সম্পাদক ফারুক হোসেন স্বপন, সাবেক সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. দিদার, মাঈনুদ্দিন খান রাজিব, মো. কাইছার, ওমর ফারুক, মো. সাইফুল, জাহাঙ্গীর আলম, এইচ মুনছুর, জামাল উদ্দিন, আবদুল মোতালেব, রবিউল, মনির, খোকন ফরিদ, নুর হোসেন, হাবিব চৌধুরী, মো. কামাল, মো. ফরিদ, মোবারক হোসেন, রুবেল হোসেন, টারজান আহমেদ প্রমূখ।