নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ, উপ-পরিচালকের অপসারণ দাবি নাগরিক সমাজের

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: উচ্চ আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ডায়াবেটিক হাসপাতালে কার্যকারিতা লাভের পূর্বে নির্বাচিত বৈধ কমিটি থাকা সত্ত্বেও এক তরফাভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে মাত্র দুজন সদস্য সভা করে বেআইনীভাবে হাসপাতালের দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডায়াবেটিক হাসপাতালের আজীবন সদস্যবৃন্দ ও নাগরিক সমাজ।

সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় ও হাসপাতালের লুটপাট ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে অপমানিত করার সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষা ও কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য।

কিন্তু একটি পক্ষ অবলম্বন করে অতি উৎসাহী কমিটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমিটির বৈধ সদস্যদের অবহিত না করে অপর পক্ষের সাথে কোরাম বিহীন মিটিং করে এখতেয়ার বহির্ভূত ভাবে একাউন্ট অপারেশন বন্ধ করার কথা বলেন, যা নিতান্তই এখতেয়ার বহির্ভূত বেআইনী ও পক্ষপাতদুষ্ট।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে পাশ কাটিয়ে একতরফা, অন্যায়ভাবে ও এখতেয়ার বহির্ভূতভাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বাহিরে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আদৌ যৌক্তিক ও আইনগত কিনা প্রশ্নবোধক। তদুপরী সৃষ্ট কমিটির অন্যান্য সদস্যদের এখানো মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তথা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হওয়ার পূর্বেই বৈষম্যমূলক একতরফাভাবে পক্ষাপতদুষ্ট অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কোনভাবেই কাম্য নয়।

এই কমিটির কাজ শুধু শৃঙ্খলা দেখভাল করা, যাহাতে আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি না ঘটে। কিন্তু তার বাহিরে গিয়ে তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণ বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। তদুপরি কার্যকরী কমিটির পূর্ণাঙ্গ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে এ নিয়ে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা বাঞ্চনীয় বলে নাগরিক সমাজ মনে করে। এছাড়া এই কমিটিকে যথাযথভাবে ও নিরপেক্ষভাবে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় হাসপাতালের পাঁচজন সন্ত্রাসী ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারিদের জিম্মি ও মারধর করে হাসপাতালের নগদ এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা ও সিন্ধুক ভেঙে রক্ষিত টাকা ও মালামাল এবং একজন ডাক্তারের মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসব সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।

সম্প্রতি হাসপাতালের রোগীদের অবরুদ্ধ করে সন্ত্রাসীরা এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এরপর সেনাবাহিনী এসে দুজনকে গ্রেফতার করলেও পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে তারা আরো উৎসাহিত হয়ে সন্ত্রাসী রাজত্ব্য চালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত সদস্য সচিবের কর্মকান্ড উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বৈষম্যমূলক। কেননা তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা নং- ৩১৯/ ২০২৪ চলমান আছে। এমতাবস্থায় তার কাছ থেকে ন্যায়সঙ্গত ও ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ করা হত। উক্ত উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে রয়েছে শত শত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। বিভিন্ন সমিতিকে জিম্মি করে তিনি এক অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখেন সবসময়।

বর্তমান ডায়াবেটিক হাসপাতালের কার্যকরী কমিটি তার প্রতিহিংসার আক্রোশের বশবর্তী হয়ে অন্যান্য অন্যায্য বৈষম্যমূলক পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ তিনি হাসপাতালের অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামীকে সাথে নিয়ে কনটেমট মামলার বিবাদীকে নিয়ে সভা করেছেন যা সরকারি চাকুরি নীতির লঙ্ঘন।

চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ সমাজসেবা দপ্তরের উক্ত উপ-পরিচালক ফরিদকে অবিলম্বে অপসারণ, তার বিরুদ্ধে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন