
জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে উপজেলা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা গত ২৩ই অক্টোবর ২০২৪ বিকালে চট্টগ্রাম নগরী লালদীঘির পাড় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা সরকারের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সদস্য সচিব আব্দুস সাত্তার রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া চৌধুরী, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহ্বায়ক ও কর্ণফুলী উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন ফারুকী,লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ সালেম, পটিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ডাক্তার খোরশেদ আলম, আনোয়ারা উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম, কাজী খোরশেদ আলম, পটিয়া পৌরসভা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বদিউল আলম বদি, এ টি এম শাহাদাত ইসলাম, হাজী নূর ইসলাম সওদাগর, মোহাম্মদ হোসাইন, খান মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, আব্দুল জলিল, দুলা মিয়া চৌধুরী মেম্বার, ইমরান হোসেন মুন্না,জালাল আহমদ, শেখ জাহাঙ্গীর, আব্দুর রহমান, সুমন,নুর নবী চাঁদ, এম ইরফান,আব্দুল হাকিম, মোহাম্মদ আবু সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপজেলা পৌরসভার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৮২ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ গঠন করেন। শত বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশিক ব্যবস্থা ভেঙে গণমানুষের দোরগোড়ায় রাষ্ট্রীয় সেবা পৌঁছে দিতেই তিনি উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা প্রবর্তণ করে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেন। ৪৬০টি উপজেলা পরিষদ গঠন করে মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্রীয় সেবা তৃণমূল মানুষের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছে দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। শহরের সকল সেবা গ্রামীণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতাল, মুন্সেফকোর্ট, পশু চিকিৎসা, কৃষি উন্নয়নসহ সব সেবা নিশ্চিত করেছিলেন। প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা ও ক্রীড়া উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেন।এ সময় ৪২টি মহাকুমাকে জেলায় পরিণত করেন তিনি। এতে বাংলাদেশের জেলার সংখ্যা হয় ৬৪। মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা ও জেলা সদর দপ্তর নির্মাণ করেন। ১৯৮৮ থেকে ৯০ সালে সারা দেশে ৫৬৮টি গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করে ২১ হাজার ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করেন। জাতি গঠনের লক্ষ্যে সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করেন পল্লীবন্ধু। শিক্ষাকে বাস্তবমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক এবং অর্থনৈতিক চাহিদার পূর্ণ উপযোগী হিসেবে ঢেলে সাজান। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা ৭০ ভাগ বৃদ্ধি করেন। ৬টি বিশ্বদ্যিালয় হলো এবং ১৭টি কলেজ হোস্টেল নির্মাণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নামে কোনো হোস্টেল নির্মাণ না করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানের নামে দুটি হোস্টেল নির্মাণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ ছাড়া, আরও অসংখ্য উন্নয়নের নজির স্থাপণ করেছেন পল্লীবন্ধু। রাষ্ট্র পরিচালনায় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে উন্নয়নের যে কীর্তি গড়েছেন তা এক কথায় বলে শেষ করা সম্ভব নয়। উন্নয়নের কীর্তির মাঝেই বেঁচে থাকবেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।