নিউজগার্ডেন ডেস্ক: এনভাইরনমেন্ট কমিউনিটি এন্ড ওশান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ইকো ফাউন্ডেশন) এর উদ্যোগে বিশ^ পরিবেশ দিবস (৫ জুন) ও বিশ^ সমুদ্র দিবস (৮ জুন) উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিগত জুন মাসে স্কুল পর্যায়ে দুটি বিষয়ের উপর স্বহস্তে লিখিত রচনা প্রতিযোগিতার আহবান করা হয়।
উক্ত রচনা প্রতিযোগিতায় প্রায় শতাধিক রচনা জমা পড়ে। গতকাল ২৭ অক্টোবর-২০২৪ ইংরেজী উক্ত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস (১৩ অক্টোবর) উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফরিদুল আলম এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকো ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম এবং সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হামিদা আক্তার।
ইকো ফাউন্ডেশন এর যুব টিম লিডার শারমিন তুলি এর উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার সাইমুন এবং সংগঠনের বর্তমান কার্যক্রম উপস্থাপন করেন যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান সমন্বয়ক সুজন দেব।
আলোচনা সভায় ইকো ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাশ বলেন, দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এই উদ্যোগ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস গুরুত্বের সাথে পালন করা উচিত। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের (যেমন -ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, অতিবৃষ্টি, বজ্রপাত, খরা এবং প্রলম্বিত ঋতু পরিবর্তন ইত্যাদি) ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলে সম্প্রদায় সহ উপকূলীয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে নানান প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দূর্যোগসমূহ। এ সকল দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত জনবল, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দূর্যোগ পূর্বাভাসে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর আমাদের জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, “মরুকরণ রোধ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় সমাজ ভিত্তিক বৃক্ষ রোপনের ভূমিকা” শিরোনামে রচনা লিখে বিজয়ী হয়েছেন হুমায়রা জান্নাত মারুয়া (প্রথম স্থান) জামালখান কুসুম কুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, অর্চি মহাজন (২য় স্থান) সিটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাহমুদা রহমান (৩য় স্থান) বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজ এবং “বঙ্গোপসাগরের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর ভূমিকা” শিরোনামে রচনা লিখে বিজয়ী হয়েছেন সাদিয়া ফাহমিদা মুনি (প্রথম স্থান) বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজ, মোহাম্মদ নকিব উদ্দিন (২য় স্থান) জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, প্রিয়ন্তী দাশ (৩য় স্থান) চট্টগ্রাম সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।