
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর সুনাম, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করার দায়ে সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্ত অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১৪টি গুরুতর অভিযোগ সহ বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সকল শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। তাদের এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেছেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ সদস্যবৃন্দ। উপরোক্ত সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে সকল শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য(ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান, কলা, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সালেহ জহুর, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শওকতুল মেহের, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ড. মোজাম্মেল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিজয় শংকর বড়–য়া, রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) এ.এফ. এম মোদাচ্ছের আলী, প্রক্টর এসকে হাবিবুল্লাহ, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান আইরিন সুলতানা, সিএসই বিভাগের প্রধান জমির আহমেদ, ইইই ও ইসিই বিভাগের প্রধান ফাহমিদা শারমিন জুঁই, ইংরেজি বিভাগের প্রধান আরমান হোসাইন, আইন বিভাগের প্রধান সুরাইয়া মমতাজ, ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ নুরুন্নবী এবং সাধারণ শিক্ষা বিভাগের প্রধান জমির উদ্দিন সহ সকল বিভাগের শিক্ষক, কর্মকতার্ ও কর্মচারীবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করার জন্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক (সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্ত উপাচার্য) বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ ও প্রতিহিংসা মূলক ষড়যন্ত্র করছেন এবং তাঁর প্রতি আনিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ এবং ইউজিসির বিভিন্ন অভিযোগের কোন লিখিত জবাব প্রদান না করে বিগত সরকারের দোসরদের সহযোগিতায় ও যোগসাজসে তিনি প্রত্যাবর্তনের অনুমতি পত্র বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কিছু পূর্বতন সুবিধা ভোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ নিম্নলিখিত অভিযোগ সমুহের কারণে অধ্যাপক ইঞ্জি: মো: মোজাম্মেল হক (সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্ত উপাচার্য) এর প্রতি অনাস্থা ও তাঁকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো— বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ২৭ ও ৩৪ অনুযায়ী গঠিত কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি একক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ট্রাস্টি বোর্ডের পূর্বানুমোদন ছাড়াই অধ্যাপক, প্রভাষক, রেজিস্ট্রার, উপদেষ্টা (অর্থ) এবং অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়োগ দিয়েছেন, যার ফলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০—এর ধারা ২৭ এবং ৩৪ লঙ্ঘন করেছেন। এর সবোর্পরি তিনি ৩১ এর (২) ও (৮) ধারা অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ কিন্ত তিনি তা মানছেন না।