
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: দেশব্যাপী পলিথিন ও পলি-প্রোপাইলিং শপিং ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। উদ্যোগটির ফলপ্রসূ বাস্তবায়নে পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনী চিন্তার প্রসার, সচেতনতা ও নাগরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত পোষাক দিয়ে ওব্যাট সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ তৈরীর প্রয়াস গ্রহণ করেছে ওব্যাট হেল্পার্স। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০০ শিক্ষার্থীর মাঝে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের খুলশী সংলগ্ন ওব্যাট জুনিয়র হাই স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও সমাজসেবী পারভীন মাহমুদ। ওব্যাট হেল্পার্স’র কান্ট্রি ম্যানেজার সোহেল আক্তার খান’র সভাপতিত্বে ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিচালক সোনিয়া সুলতানা।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের পরিচালক আলী আকবর, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)’র ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম কিডনী রোগী কল্যান সংস্থার প্রচার সম্পাদক ওবায়দুল হক মনি, সমাজকর্মী জামান শাহেদ, সংগঠক জিএম সাইদুর রহমান মিন্টু, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারি মাইনুল ইসলাম, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ইকো ফ্রেন্ডস’র সাংগঠনিক সম্পাদক কায়ুমুর রশিদ বাবু, তৌফিক আলম জোহাদী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পারভীন মাহমুদ বলেন, পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনি চিন্তার বিকাশ সাধনের মাধ্যমে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন বিশেষত আমাদেরকে অভ্যাস বদলিয়ে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে।
স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত কাপড় দিয়ে বানানো হয়েছে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ, যা পলিথিনের বিকল্প হিসেবে অসাধারণ উদ্যোগ। সোনিয়া সুলতানা বলেন, ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে দেয়া হয় পলিথিন ব্যাগ। পলিথিন মাটির সাথে মেশে না বরং মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে। বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনে বিপত্তি ঘটিয়ে পানি নামার পথ রুদ্ধ করে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। পলিথিন ব্যাগমুক্ত বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।