কপ২৯-এর পূর্বে জলবায়ু সংকটের প্রতি বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে কক্সবাজারে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সংহতি প্রচারাভিযান

১০ নভেম্বর ২০২৪, কক্সবাজারঃ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতি সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে একটি অনন্য প্রচারাভিযান আয়োজন করা হয়েছে। সংশপ্তক, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন), এবং বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও উন্নয়ন কর্মজোট যৌথভাবে কপ২৯-এর প্রাক্কালে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন জলবায়ুগত সমস্যাগুলি প্রতিদিন স্থানীয় জনগণের জীবন ও জীবিকায় যে প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে এই প্রচারাভিযানে সচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন প্রতীকী আইটেম নিয়ে সমুদ্রের পানিতে দাঁড়িয়ে পাঁচজন প্রতিনিধি নিজেদের ক্ষতির গল্প তুলে ধরেন, যা স্থানীয় জনগণের দুরবস্থাকে প্রকাশ করে।

এই উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় নেতা, তরুণ কর্মী এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ, যারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও ঝুঁকি সম্পর্কে জোরালো বক্তব্য রাখেন। বক্তারা উল্লেখ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কক্সবাজারের মানুষের জীবনযাত্রা হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন যে, “জলবায়ু পরিবর্তন যেন আমাদের ঘর-বাড়ি কেড়ে নিতে না পারে এবং আমরা নিরাপদ খাদ্য ও পানির দাবিদার।”

“চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চল জলবায়ু সংকটের সম্মুখভাগে রয়েছে,” বলেন সংশপ্তক-এর উপপরিচালক অগ্রদূত দাশগুপ্ত। তিনি আরও বলেন, “আমাদের জনগণ এই সংকটের সরাসরি শিকার, এবং আজ তারা তাদের অভিজ্ঞতা সবার সামনে তুলে ধরতে এবং বিশ্বকে জানাতে একত্রিত হয়েছে। আমরা কপ২৯-এর পূর্বে আমাদের আওয়াজ তুলে বিশ্বনেতাদের সচেতন করতে চাই, যেন আমাদের জীবিকার সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।”

এই ক্যাম্পেইনটি কপ২৯-এর আগে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হয়েছে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে উপকূলীয় অঞ্চলে অভিযোজন তহবিল বরাদ্দ, দুর্যোগ-প্রতিরোধী অবকাঠামো নির্মাণ এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সহায়তা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন