পানিতে হেঁটে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুর্গতদের ত্রান দিচ্ছেন রাউজানের মেয়র পারভেজ

নিউজ ডেক্স :

পাঁচ দিনে টানা বৃষ্টি। সাথে যোগ হয়েছে পাহাড়ী ঢল ও জোয়ারের পানি। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের রাউজানের অধিকাংশ এলাকা ডুবে পানিতে থৈই থৈই করছে। রাস্তাঘাট হাঁটু থেকে কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় শত শত পরিবার রান্না করতে পাচ্ছে না। পৌরসভা এলাকার পানি বন্দি মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় গত তিনদিন থেকে তারা পানি বন্দি হয়ে আছে।

 

বৃষ্টির পানির সাথে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানির কারণে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। ৭ আগস্ট সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রান্না করা খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনী পন্য বিতরণ করেছেন পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। তিনি এই কার্যাক্রম চালান দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মানুষের বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করায় চুলায় রান্নার পাতিল বসানো যাচ্ছে না।

 

পানিবন্দি পরিবারের সদস্যরা বাইর থেকে খাবার এনে পরিবারের সদস্যদের দিচ্ছে। এমন দৃশ্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতেও। বিশেষ করে হালদা ও কর্ণফুলী নদীর পাশ ঘেঁষে থাকা ইউনিয়ন গুলোর অবস্থা নাজুক। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে পানির স্রোতের চাপে বহু রাস্তাঘাট ধসে গেছে। সড়ক পাশের বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। উপজেলার অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ডুবেছে কোমর পানিতে।

 

 

এসব সড়কে বন্ধ আছে যানবাহন চলা চল। উপজেলার দক্ষিণাংশের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেছেন বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নের মধ্যে উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, নোয়াপাড়া, বাগোয়ান,পূর্বগুজরা,বিনাজুরী। এসব ইউনিয়ন হালদা ও কর্ণফুলী নদীর সাথে। অনেকেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গৃহপালিত পশু নিয়ে। পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি চার লেইন মহাসড়ক উঁচুকরায় দ্রুতগতিতে পাহাড়ী পানি নামতে পাচ্ছে না।

 

 

একারণে পৌর এলাকাসহ উপজেলার উত্তরাংশের কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মেয়র বলেছেন এলাকার সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নিদেশে দুর্গত পরিবারে রান্না করা খাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যসহ নগদ টাকা দেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ সিকদার পরিস্থিতি মূল্যায়নে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সকলকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে নিদ্দেশ দিয়েছেন। বৈঠকে এই পর্যন্ত জানমালের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়।

মন্তব্য করুন