প্রতিবেশী পুলিশ কর্মকর্তার অত্যাচার ঘরছাড়া চন্দনাইশের দুই পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবেশী পুলিশ কর্মকর্তার জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে এলাকাছাড়া হয়েছে চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ কানাইমাজারী মামুন খলিফা বাড়ির দুই পরিবার। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান বলেন, কোন ব্যক্তি কখনো কোন ধরনের বিপদে পড়লে প্রতিকারের আশায় পুলিশের কাছে ছুটে যায়। আজ আমার এক প্রতিবেশী পুলিশ কর্মকর্তার নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হয়েছেন।গত ৫ দিন ধরে তারা এলাকাছাড়া।

তিনি জানান, তার প্রতিবেশি দস্তগীর হোসেন মানিক ২০১৭ সালে পুলিশের এস আই (বিপি নং :- ৯২১৯২২৩৬৮১ )পদে যোগদান করেন। বছর দুয়েক আগে তারা দুই ভাইয়ের বসতবাড়ির মাঝের একটি বিরোধপূর্ণ জমি কিনে জোরপূর্বক সেখানে কোটি টাকা ব্যয়ে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। অথচ ওই জমি নিয়ে ২০০৯ সাল হতে মামলা চলছে।

ভূমিদস্যু ও দুর্নীতিবাজ এই পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে তারা দুই ভাইয়ের বসতভিটা দখলের চেষ্টা করছে। পুলিশের পোশাক পড়ে ওয়াকিটকি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। এসব কারণে তার ভাই শফি ২০২৪ সালের ১৪ মে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জিডি করেন। এর কিছুদিন পর আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করেন।

আদালতের নির্দেশের গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসিল্যান্ড নিয়োজিত সার্ভেয়ার জায়গা পরিমাপ করতে গেলে দস্তগীরের নেতৃত্বে তার ভাইসহ অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, চিড়ানো কাঠ, লাঠিসোটা ইত্যাদি নিয়ে হামলা করে।

এতে আমরা গুরুতর আহত হয়েছি। আমার চোখের পাশে ৬টি সেলাই হয়েছে। আমার ভাই শফির মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। আমার মেজ ছেলে মোঃ বোরহান আজিজকেও তারা বেদম প্রহার করে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে মারাত্মক জখম হয়েছে। তার মাথায় ৮টি সেলাই হয়েছে।

আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও তারা মারধর করে।
আহত অবস্থায় আমরা যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছি।

সেসময় ওই পুলিশ সদস্য প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় মামলা করেছে। আমরা মারও খেলাম। অপরদিকে মামলার আসামিও হলাম।

অথচ এই ঘটনায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ আমাদের কাছ থেকে মামলা নিয়েছে ঘটনার তিনদিন পর। আমার বড় ছেলে তারেক আজিজ (২৯) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন ২০১৭ সালে পুলিশের এস আই পদে যোগদান করে আলাউদ্দিনে কোন চেরাগ পেয়ে তিনি কক্সবাজারে হোটেল, বাড়িতে কোটি টাকা ব্যয়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, আমাদের বিরোধপূর্ণ জমি দখল করে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় শহীদ মিনার, পুকুরের ঘাট্, ড্রেন নির্মাণ করে নিজের নামে উদ্বোধন করেছেন। বাড়ির আশপাশে বিপুল পরিমাণ জমি কিনে কোটি টাকার মৎস্য ও কৃষি প্রকল্প করেছেন।

তিনি কত টাকা বেতন পান। এত সম্পদ কিভাবে অর্জন করেছেন। অথচ তার পিতার মৃত্যুর আগে এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে তাকে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। মৌরসী সূত্রে প্রাপ্ত দুই গন্ডা জমি ছাড়া অন্য কোন সম্পদ ছিল না।

মন্তব্য করুন