নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রামে সাংবাদিক নামধারী দুর্বৃত্তদের হাতে মহান মে দিবসে এক আইনজীবী ও এক সাধারণ শ্রমিককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি জাহিদুল করিম কচি ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ খুরশিদ জামিল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘ মে দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবার সময় গত ১ মে চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড় এলাকায় সাংবাদিক নামধারী কিছু ব্যক্তির হাতে প্রহৃত হন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট রেজাউল ইসলাম। দুর্বৃত্তদের হাত থেকে আরেক সাধারণ শ্রমিককে বাঁচাতে গিয়ে তাদের রোষানলে পড়েন ওই আইনজীবী। তাদের দুজনকে মেরে পুলিশ ভ্যানে তুলে দেবার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছেন ফ্যাসিবাদের দোসর বিতর্কিত কিছু সাংবাদিক। ‘
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘ পুলিশ পুরো ঘটনা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য জেনে নিশ্চিত হয়েছেন পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার ফাইলিং লয়ার এডভোকেট রেজাউল ইসলাম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এই আইনজীবীর ভুমিকা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে। একারণেই পরিকল্পিতভাবে পুনর্মিলনীতে বাধা প্রদানকারী তকমা লাগিয়ে তাকে ধরে মারা হয়েছে। ‘
কর্মরত সাংবাদিকদের পুনর্মিলনীর নামে আওয়ামী লীগপন্থীদের প্রকাশ্য শোডাউন ও এমন আইনবিরোধী সন্ত্রাসী কার্যাক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ ঘটনায় জড়িতদের অধিকাংশই ৫ই আগস্টের পর চট্টগ্রামে রুজু হওয়া বিভিন্ন ছাত্র-গণ হত্যার উষ্কানিদাতা হিসেবে মামলার আসামি। আইনজীবী আলিফ হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামীদের গ্রেফতার না করার কারণেই আওয়ামী প্রেতাত্মারা এমন দুঃসাহস দেখিয়েছে। ‘
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ দীর্ঘ সতের বছর গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে যারা ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করেছে, বিনা ভোটে ক্ষমতার মসনদে বসা স্বৈরাচার সরকারের তাঁবেদারী করেছে, মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রচার করে যারা ২৪ এর গণ অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উষ্কানি দিয়েছে -তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ‘
