মোহাম্মদপুরে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায়, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

কাজী ইব্রাহিম সেলিম: চট্টগ্রামের মোহাম্মদপুর এলাকায়, মো. আসলাম, মনির চৌধুরীর মতো অনেক ভাল ভাল মানুষ ও ত্যাগী নেতা থাকা সত্ত্বেও, দু’একজন পাতিনেতার বেপরোয়া দখলবাজীতে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। সেজন্য, ৮ আসনের সংসদ প্রার্থী, সিটি মেয়র ও দলের ত্যাগী নেতাদের এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী।

মানুষের কবলামূলে মালিকানা জায়গা জবর দখলের চেষ্টা, ভুক্তভোগীর মৌরশী এখোয়ারকৃত খণ্ডটি মালিকানা জায়গার সঙ্গে সংযুক্ত বিধায় সেই দলিলের জায়গাটিসহ বিএনপি নামধারী কয়েকজন দখলবাজের মাধ্যমে প্রভাবশালী জামশেদ জবর দখল করতে চাইলে ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা বিএনপি সমর্থিত লোকগুলোকে আওয়ামী লীগ করে অপবাদে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। সিডিএর লোকজনের মাধ্যমেও অপকৌশলে সুযোগ নিবেন বলে ভয়-ভীতি দেন।

ছদ্মনাম…মওনা,..সাওখী…রাওসল এসব বিএনপির নামধারী কিছু দখলবাজই ভুক্তভোগীকে গরীব ও দুর্বল দেখে জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ এলাকায় বিএনপির নেতা হিসেবে আর ইউ চৌধুরী শাহীনের নামও রয়েছে কিন্তু দখলবাজদের কবল থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষার দাঁয়িত্বে কারো নাম উঠে আসছেনা! এলাকাটির ৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ ও সিটি মেয়রের দাঁয়িত্বে আছেন ডাঃ শাহাদাত হোসেন।

আশে-পাশের আসনগুলোতে রয়েছে ৯ আসনে আবু সুফিয়ান (নাম ঘোষণার পর স্থগিত), ১০ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ৭ আসনে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মতো অনেক নেতারা। তাহলে,…মওনা,..সাওখী…রাওসল এরা যে নেতার অনুসারী, সে নেতাই তো বিএনপি দলের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতেই তাদের দমাতে পারেন। ২ কড়া কবলামূলে মালিকানা জায়গাসহ ভুক্তভোগীর মৌরশী এখোয়ারকৃত খণ্ড জায়গাটা ক্ষুদ্র হলেও এটিকে অন্যায়ভাবে জবর দখল করতে গেলে দখলবাজ হিসেবে দুর্নামটা হবে অনেক বেশি, সে ভয়ে অতীতে আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর মোবারক আলীর লোকজন ক্ষমতায় থাকাবস্থায়ও এটি দখলের চেষ্টা করেও অবস্থা বুঝে দ্রুত পিচু হটে বুদ্ধিমানের পরিচয় দেন।

কিন্তু বর্তমানে ১৭ বছরের ক্ষুধার্ত লোকগুলো লোভ সামলাতে না পেরে ক্ষমতায় না থাকাবস্থায়ও বারবার জবর দখলের চেষ্টা চালিয়েছে বিধায়, সে অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগী এক মহিলাকে সিটি মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন সঙ্গে সাক্ষতের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা, মেয়রের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগের উপর অভিযোগ দেওয়া, কার্যালয়ে মেয়রের লোকজন ও পিএসকে অসহায় এ ব্দ্ধৃা মহিলা কাঁন্না-কাটি করে বিএনপি নামধারী এ কর্মীদের জুলুম-অত্যাচারের বিষয়টা জানাতে দেখা গেছে।

কিন্তু তারা এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর হতে ও মেয়রের মাধ্যমে প্রতিকারের দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি! ওই সময় পুলিশ এলে ১/৬/২৫ সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা জায়গাটি (এস আই নয়নকে) ভুক্তভোগী সরেজমিনে দেখালে ওইদিন রাত ৮ টায় থানায় ওই মহিলার দলিলপত্র ও সার্ভেয়ারের দেওয়া কপিতে মহিলার ৪৪৫০, ৪৪৫১, ৪৪৫২ দাগ থেকে জামশেদের ৪৪৫৭ দাগের জায়গাটি আরেক পাশে দেখে (এস আই ছালে) বলেন, ‘সেই জায়গাটি মহিলারই প্রাপ্য।’ আরেক পাশের ৪৪৫৭ দাগের জামশেদ এটাতে সমস্যার সৃষ্টি করার প্রশ্নই আসে না।

পুলিশের (এস আই নয়ন ও ছালের) ন্যায়নিষ্ঠতার বিষয়টিও মহিলা লিখিতভাবে মেয়রের কার্যালয়ে জমা করেছেন। বিএনপির এ লোকগুলোও যদি জামশেদের থেকে টাকা না খাইতেন, তাহলে তারাও পুলিশের (এসআই নয়ন ও ছালের) মতো সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকতেন, এটিতে নেতা-কর্মীর ভাল কাজের মাধ্যমে বিএনপি জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠতেন, সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চাঁদাবাজী-দখলবাজী ও পাথর মেরে মানুষ খুনের অভিযোগে এভাবে আলোচনায় আসতো না! ওই সময় জামশেদ থানায় বৈঠকে পুলিশের এস আই ছালের সামনে ভুক্তভোগীকে কথা দিয়েছেন, সে ১ সপ্তাহের মধ্যে জায়গাটা সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে দেখবেন।

কিন্তু সে অনেক আগের থেকে সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে দেখেছেন খণ্ডটিতে তার ৪৪৫৭ দাগের জায়গা নেই, সেটা তার জানা আছে বিধায় সে তার কথামতো সপ্তাহের মধ্যে জায়গাটি মেপে দেখছে না। এখন সাপ্তাহ পেরিয়ে ৫ মাসের মধ্যেও মাপছেন না। এসআই ছালের সঙ্গে সাক্ষাৎও করছেন না। খণ্ডটিতে যে তার জায়গা নেই তা স্বীকার করে নেয় কিনা জানতে ভুক্তভোগী তার নিকট গেলে সে দেখাও করছেনা। শুধু অর্থের বিনিময়ে বিএনপি নামধারী কয়েকজন দখলবাজের মাধ্যমে জবর দখলের গান গেয়েই যাচ্ছে।

এভাবে পুরো দেশজুড়ে বিএনপির মাঝে সমস্যার সমাধান ও শান্তি খোঁজে পাওয়ার আশাবাদী মানুষগুলো আজ কিছু পাতিনেতার চাঁদাবাজী-দখলবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে বিএনপির প্রতি ভরসা হারিয়ে ফেলেছে। ভরসা হারিয়ে ফেলা সেই মানুষগুলোর মাঝে বিএনপির নতুন কমিটির নেতা-কর্মীরা কাজের মাধ্যমে পুনরায় আস্থাভাজন হয়ে উঠবেন, ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী ছিনিয়ে আনবেন, এ প্রত্যাশা জনগণের।

মন্তব্য করুন