নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর চট্টশ্বরী রোডের পূবালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের বিপরীতে আ’লীগ নেতা কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আসবাবপত্র, ফাইল কেবিনেট, সিসি ক্যামেরা, সিলিং ফ্যান, লাইট, ইলেকট্রিক মিটার, টিএন্ডটি ল্যান্ড ফোন এবং ভ্যানগাড়িসহ সর্বমোট ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মালামাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত ৪৮০ ব্যাগ সিমেন্ট, যাহার বর্তমান বাজার মূল্য-২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত নগদ ৫০ হাজার টাকা, পূবালী ব্যাংক, মেহেদী বাগ শাখা, চট্টগ্রাম এর স্বাক্ষরিত ৫টি ব্ল্যাংক চেকসহ চেক বই, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, রাহাত্তারপুল শাখা, এর স্বাক্ষরিত ১টি ব্ল্যাংক চেকসহ চেক বই, জনতা ব্যাংক, চক বাজার শাখা, চট্টগ্রাম এর চেক বই, উত্তরা ব্যাংক, চকবাজার শাখা এর চেক বই ক্ষতিগ্রস্ত। দোকানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চার পাশের দেয়াল এবং গ্রীল শার্টার ভাংচুর করিয়া গাড়ীযোগে অন্যত্রে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে সহ অজ্ঞাতনামা ১০/ ১২ জনের থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দিবাগত রাতে নগরীর চট্টশ্বরী রোডের পূবালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের বিপরীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স আর আহমেদ এন্ড কোম্পানি ১৯৬৮ সাল হতে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরিফ আহমেদ পরিচালনা করে আসতেছে। বিগত ২০১০ সালে আরিফ আহমেদের পিতার মৃত্যুর পর আমাকে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে।
আবু তাহেরের পুত্র কামরুল হাসান (৫২), এমএফ করিম অপু (৪৮), মৃত আবু গনির পুত্র আব্দুল হাদী টিটু (৩৩)। আদালতে পিটিশন মামলা নং-৬৫/১০, তারিখ-১৭/০৮/২০১০ এবং পিটিশন মামলা নং-০৭/১১ দায়ের।
অভিযোগের বিষয়ে আ’লীগ নেতা কামরুল হাসানের বক্তব্য জানতে তাঁর ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার চেষ্টা করেও বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার এস আই মো: নওশের কোরেশীকে বার বার ফোন দেয়ার পরও তিনি ফোন রিসীভ করেন নি।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধনও করেছে।