নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আনোয়ার হোসেন বলেছেন, উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে এবং পণ্যে বৈচিত্র আনার জন্য শিল্পকারখানায় আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের বিকল্প নেই। কিন্তু এসব আধুনিক প্রযুক্তি পরিচালনায় দক্ষ জনশক্তির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। দক্ষ কর্মী তৈরিতে যে ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণা দরকার, তাও অপর্যাপ্ত। গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যয় করতে চায় না। পরিবর্তনশীল তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ক্রমেই পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে টিকে থাকতে স্মার্ট ও প্রযুক্তিনির্ভর মানবসম্পদ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। এলডিসি-পরবর্তী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে স্মার্ট মানবসম্পদই হবে বাংলাদেশের প্রধান ভরসা। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শুধু দক্ষতাই নয়, দরকার প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর সক্ষমতা ও সৃজনশীল চিন্তা। দ্রুত পরিবর্তনশীল যুগে অভিযোজন ক্ষমতাই হবে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। দেশে প্রায় ১৭৬টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সীমিত। ফলে চাহিদাসম্পন্ন স্নাতকদের অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছেন। এতে দেশের শিল্প খাত দক্ষ জনবলের সংকটে ভুগছে।
মঙ্গলবার সকালে বিসিএসআইআরের চট্টগ্রাম মিলনায়তনে ‘শিল্প প্রযুক্তির উন্নয়নে গবেষণার গুরুত্ব’ শীর্ষক অংশীজন কর্মশালা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো: মাহবুব উর রহমান, তিনি বলেন, ‘আমাদের গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিল্পের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে। গবেষণায় বিনিয়োগ করা সরকারের অর্থ যেন উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখে সে বিবেচনায় গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিল্পের মধ্যে আন্ত:সংযোগ জোরদারে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগগুলো সময়োপযোগী এবং এর জন্য নীতিগত ও আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. সামিনা আহমেদ বলেন, রিসার্চ তখনই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে, যখন তা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে কার্যকর অবদান রাখতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সমাজ ও শিল্পখাতমুখী গবেষণা ইকোসিস্টেম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম গবেষণাগার’র পরিচালক ড. বরুণ কান্তি সাহা, মো: রেজাউল করিম, ড. শ্রীবাস চন্দ্র ভট্টচার্য, ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূ্ইঁয়া, ড. সাইফুল ইসলাম, মেহের নিখাদ নিপা, রাশেদা আকতার, ড. লিটন চন্দ্র মহন্ত, সুমন দাশ, মো: সাইদুর রহমান, মো: আবু বকর সহ বিভিন্ন বিশ^বিদ্যায়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষক ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।