নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ইমপেরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ডা. এ কে এম আরিফ উদ্দিন আহমেদ কে হাসপাতালে প্রবেশ করতে না দিয়ে অসম্মানজনক ভাবে চাকুরিচ্যুতির নোটিশ দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ইমপেরিয়াল হাসপাতালের একাডেমিক কোঅর্ডিনেটর ও মাস্টার হেলথ চেকআপ এর ইন-চার্জ ডা. আরিফ উদ্দিন আহমেদকে কোন কারণ ছাড়াই, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্যায় ও অসম্মানজনক ভাবে হাসপাতালের গেইটেই গাড়ি আটকে চাকুরিচ্যুতির নোটিশ দেয়া এবং হাসপাতালে প্রবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ২য় তলায়, এস রহমান হলে ডা আরিফ উদ্দিন আহমেদ এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
আজ সকাল ৯টায় ডা আরিফ প্রতিদিনের মতই ইমপেরিয়াল হাসপাতালে তার কর্মক্ষেত্রে গেলে, তাকে হাসপাতালের প্রধান ফটকেই সিকিউরিটি গার্ডবৃন্দ ঢুকতে বাঁধা দেয় ও তার কাছে ৩ ডিসেম্বরের স্বাক্ষরিত একটি ফটোকপি চিঠি দেয়, যাতে লিখা ছিলো আপনার কাজের শেষ দিবস ছিল ০৩/১২/২৩, যদিও তিনি গত ০৪/১২/২৩ খ্রীঃ তারিখ তিনি যথারিতি অফিস করেন ও এর উপস্থিতির ফিঙার প্রিন্টও আছে। ডা. আরিফ উক্ত চিঠির মূল কপি দেয়ার অনুরোধ জানালে তা দেয়া যাবে না বলা হয়।
ইতিপূর্বে গত ৩১ অক্টোবর থেকে ডা. আরিফকে নিয়মিত চাকুরী থেকে চুক্তি ভিত্তিক চাকুরীতে আনার অপতৎপরতা চালায় ইমপেরিয়াল কর্তৃপক্ষ, এই প্রেক্ষিতে ডা. আরিফ উক্ত অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য গত ৩০/১১/২৩ খ্রীঃ তারিখ চট্টগ্রামের মাননীয় সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালতে মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১৫৪/২০২৩ যা এখন বিচারাধীন। উক্ত মামলা আমলে নিয়ে মাননীয় আদালত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৩/০২/২৪ খ্রীঃ তারিখ আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
ডাঃ এ কে এম আরিফ উদ্দিন আহমেদ, ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেডের একজন নিয়মিত পূর্ণকালীন স্থায়ী কর্মচারী, বর্তমানে ইন-চার্জ মাস্টার হেলথ চেকআপ এবং একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও মেডিকেল রেকর্ড বিভাগের ইনচার্জ এবং চট্টগ্রাম ইমপেরিয়াল কলেজ অফ নার্সিং এর সমন্বয়কারী হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি নভেম্বর ২০১৬ থেকে এখানে কাজ করছেন এবং তার নিয়োগ পত্রে লেখা ছিল যে এক বছর পর তার নিয়োগ নিয়মিত করা হবে। এই অনুযায়ী ১২/১২/২০১৮ তারিখে তাকে মেডিকেল কোওর্ডিনেটর হিসেবে ৩ বছরের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এবং তাকে গত ১০/১২/২০১৯ তারিখে একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর হিসাবে পাদায়ন করা হয় ও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয় ইন-চার্জ মাস্টার হেলথ ক্লিনিক এবং ইন-চার্জ মেডিকেল রেকর্ড বিভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী জানানো হয়, অবিলম্বে উক্ত চাকুরীচ্যুতির নোটিশ প্রত্যাহার করে তাকে তার চাকুরীতে ফিরিয়ে আনা সহ তার বর্তমান চাকুরির সকল বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা সমূহ নিয়ম অনুযায়ী চালু রাখা ও বকেয়া সমূহ পরিশোধ করার। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট আকবর মাহমুদ বাবর, হাবিব বিপ্লব, রুপম কান্তি শীল প্রমূখ।
