নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়া যেমন অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু নৌকা ও ডামির প্রার্থীরা ভোট দিতে না গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না, তাদের বাড়িছাড়া করা হবে হুশিয়ার করছে। সরকারি উপকারভোগীদের কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। গায়েবি নাশকতা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনাররা জেল জরিমানার হুমকি দিচ্ছেন। তারা প্রতিদিন গণভবন থেকে আসা ফরমান ঘোষণা করছেন, আর বিএনপিকে শায়েস্তার হুমকি দিচ্ছেন। একতরফা নির্বাচন করে তারা এখন জনগনের প্রতিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চকবাজার কাঁচা বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
আওয়ামীলীগের ওবায়দুল কাদেরের “৭ জানুয়ারী ফাইনাল খেলা হবে” বক্তব্যের উল্লেখ করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আবাহনী মোহামেডান ক্লাবের মধ্যে হলেই দর্শক খেলা দেখতে আসে। শেখ কামাল আর শেখ জামাল স্মৃতি সংসদের খেলা দেখতে জনগণ আসবেনা। আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগীর একতরফা ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যতই কেরামতি করেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার পাবেন না।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য ভোটারদের বাধ্য করতে নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। আওয়ামীলীগের একগুঁয়েমি দেশকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগণের মৌলিক অধিকারের দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির শতশত নেতাকর্মীকে আটক করে নির্যাতন করছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মন্জুর আলম মন্জু, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. এমরান উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।