আবু সুফিয়ান ও এরশাদ উল্লাহর নামে মামলা, গ্রেফতার ১২

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: সরকার পতনের একদফা দাবি ও ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা হরতালের ২য় দিন রবিবার (৭ জানুয়ারী) চান্দগাঁও এলাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়ে ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, মহানগর যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি নওশাদ আল জাসেদুর রহমান ও চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুর রহমান আলফাজ সহ ২০০/২৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

এধরনের মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

সোমবার (৮ জানুয়ারী) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির ডাকা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়েই যাচ্ছে সরকার। বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য করতেই ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপি নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতার করছে। বর্তমান সরকার বিএনপির নেতৃত্বে চলমান একদফার অসহযোগ আন্দোলনে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই মধ্যরাতের ভোট ডাকাত সরকার পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও এরশাদ উল্লাহ সহ শত শত নেতাকর্মীকে আসামি করে উদ্ভট মামলা করেছে। অথচ ঐদিন এই দুই নেতা কর্মসূচিতেও ছিলেন না। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলা পরিকল্পিত ও মিথ্যা। সরকারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে একেকটি ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নামে মামলা দিচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার টিকে আছে। এখন আইন আদালত, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছুই শেখ হাসিনার হুকুমের দাসে পরিণত হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীসহ সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও এরশাদ উল্লাহর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

 

মন্তব্য করুন