‘প্রতিদিন ২০০ অসহায় মানুষকে ইফতার ও সেহরি করান’

রমজানের পবিত্র মাসে ছিন্নমূল ও ভাসমান রোজাদারদের জন্য সেহরি ও ইফতারের বিনামূল্যে আয়োজন করছে চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক সংগঠন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন।

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও গোলাম আলী নাজিরপাড়া আল হুমায়রা (রা.) মহিলা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা জামে মসজিদে ভিড় জমে অসহায় দুই শতাধিক মানুষের।

এখানে প্রতিদিন রমজানের ফজিলতের উপর দেশ বরেণ্য আলেমে দ্বীন আমলি আলোচনা করে থাকেন। পুরো রমজান মাসব্যাপী চলবে এই আয়োজন।

সংগঠনটির উদ্যোগে গত চার বছর ধরে চলছে এই আয়োজন। এবারও প্রতিদিন ২০০ এর বেশি রোজাদারকে সেহরি ও ইফতার পরিবেশন করা হচ্ছে।

যেই আয়োজনটি হয়ে থাকে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের মেহমানখানার উদ্যোগে। এখানে স্বেচ্ছাসেবীরা দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করেন।

ইফতারের ঠিক আগমুহূর্তে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমজীবী, ভাসমান ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর এই প্রচেষ্টা সামাজিক সহমর্মিতার অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, রোজাদারদের কষ্ট লাঘব করতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। যেকোনো অসহায় মানুষ এখানে এসে বিনামূল্যে খাবার পাবেন। প্রতিদিনের রান্না ও বিতরণে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করেন। তবে সম্প্রসারিত পরিসরে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিনামূল্যে ইফতার ও সেহেরি পেয়ে খুশি অসহায় মানুষও। একজন রিকশাচালক জানান, রোজা রেখে সারাদিন রিকশা চালিয়েছি। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ইফতার পেয়ে ভালো লাগছে। আল্লাহ তাদের এই আয়োজন সফল করুন।

সেহরি গ্রহণ করতে আসা এক বৃদ্ধ জানান, বাজারে দাম চড়া, নিজে রান্না করার সামর্থ্য নেই। এই উদ্যোগ না থাকলে হয়তো অনেকদিন রোজা রাখতে পারতাম না।

করোনার প্রথম লকডাউন থেকে যাত্রা শুরু করা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ‘মেহমানখানা’ এখন মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন অসহায়, দরিদ্র ও পথচারীদের জন্য বিনামূল্যে ইফতার ও সেহেরি আয়োজন করে আসছে এই সংগঠন।

শুরুটা ছিল সংকটকালীন সময়ে, কিন্তু এখন এটি ধারাবাহিকভাবে চলছে গত চার বছর ধরে।

মন্তব্য করুন