
চট্টগ্রামস্থ বাঁশখালীতে জুলাই আন্দোলনে ভূমিকার ইস্যুতে একজন আলেমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নামধারী সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের জন্য গেলে ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তারা অনুপস্থিত থাকায় মামলা দায়ের সম্ভব হয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর জলদী ৩নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়ি নিবাসী, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী পৌরসভার অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ মাহফুজুল হাছান তারেক এর উপর রবিবার ৩০ মার্চ, রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় ঈদের শপিং করতে এসে মিয়ার বাজার পৌঁছালে তার ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
দক্ষিণ নেয়াজরপাড়া নিবাসী জনাব মো: হামেদ (৪৬) এর উস্কানীতে খালেদ (৪৯), ফুরকান (২৩), আবু হানিফ মোঃ নোমান (২০), ওয়াহিদুল ইসলাম (২০), আবু সাইয়েদ মোহাম্মদ শওকত (১৯) এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের ১৪-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা চালায় পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও চাদাবাজ। জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে হামলায় সরাসরি নেতৃত্বদানকারী।
ভূক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ গ্রহণ করে প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে হামলার সঙ্গে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো এলাকায় সক্রিয় থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এই রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত স্থানীয় থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি এবং ওসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।