
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগের পথ ধরেই বিএনপি এখন একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংকল্প নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। সংবিধানের পরিবর্তন কিংবা সংশোধন করতে হলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই তা করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা প্রিয় জনগণ মনে করে, করিডোর দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে, সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি। বাংলাদেশে গত ১৫ বছর ধরে একটিমাত্র শাসকগোষ্ঠী ছিল ক্ষমতায় যারা নির্বাচন কিংবা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য নির্যাতন কিংবা দমন-পীড়নসহ অনেক কিছু তারা করেছে। তারা মিডিয়াকে ভয়াবহভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তিনি আজ শুক্রবার (২ মে), বিকাল ৪ টায় বায়েজিদ বোস্তামী থানা যুবদলের উদ্যোগে শেরশাহ কলোনি ডা. মজহারুল হক হাই স্কুল প্রাঙ্গণে আগামী ১০ মে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে “তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ” সফল করার লক্ষ্যে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিটি থানায় থানায় প্রস্তুতি সভার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বায়েজিদ বোস্তামী থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক অরূপ বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে ও সাবেক সি. যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু’র সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এক বিশাল পরিবর্তন এনেছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ এক নতুন রাজনৈতিক পর্বে প্রবেশ করেছে। তবে শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, এই গণঅভ্যুত্থান একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে। জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক পুনর্গঠন ও নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য গভীর আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছে- যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চা, সুশাসন এবং রাজনৈতিক সংস্কার করা হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল করিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা, জাফর আহমেদ খোকন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ নুর হোসেন উজ্জ্বল, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মাদ সাগির, সাবেক সহ সম্পাদক কোরবান আলী, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, মো. রাশেদ, সদস্য শাবাব ইয়াজদানী, সাইদুল হক শিকদার, বায়েজিদ বোস্তামী থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহ আলম, মোহাম্মদ উল্লাহ তড়িৎ, মো. ওবাইদুল হক, জানে আলম, বাবুল হোসেন বাবু, ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহবায়ক এস এম আলী, মোহাম্মদ হাসান, মেহেদী হাসান রানা, আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।