পক্ষপাতমূলক সিন্ধান্ত প্রত্যাহার কর, বিএসএএ নির্বাচনের জোর দাবী

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ডিটিও, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক একপেশে ও পক্ষপাতিত্বমূলক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের পরিচালনা পর্ষদ (২০২৫-২০২৭) নির্বাচন স্থগিতের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন (বিএসএএ) এর পরিচালনা পর্ষদের ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন আগামী বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ২০২৫ তারিখ অত্যন্ত উৎসাহ ও উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত “বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫” অনুযায়ী সকল নিয়মনীতি মেনে অত্র এসোসিয়েশনটির সদস্য শিপিং এজেন্টগণ ভোটার হওয়া থেকে শুরু করে নমিনেশন জমা দেয়া পর্যন্ত সকল কিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হয়ে আর মাত্র ২ দিন পর ৯ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া বাকি ছিল।
কিন্তু এতোকিছুর পরও শেষ মুহূর্তে ডিটিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক একপেশে পক্ষপাতিত্বমূলক ও অবিবেচক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হঠাৎ করে ৭ অক্টোবর তারিখে অযৌক্তিক ও একপাক্ষিক কারণ দেখিয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। যাতে আমরা সকল সাধারণ ভোটারগণ তীব্র ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত হয়েছি এবং এই অবিবেচক একপেশে ও পক্ষপাতিত্বমূলক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এভাবে সকল পক্ষের মতামত না নিয়ে নির্বাচন স্থগিতের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, বিএসএএ এর ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন স্থগিতের জন্য ডিটিও, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক যেসব কারণ দেখানো হয়েছে তা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। উক্ত বিএসএএ নির্বাচনে দুইটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল যেখানে একটি জনপ্রিয় প্যানেল হলো ঐক্য পরিষদ ও অন্যটি সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান সৈয়দ আরিফের প্যানেল যেখান থেকে সৈয়দ আরিফ পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে আহসান ইকবাল চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের ভরাডুবি বুঝতে পেরে সৈয়দ আরিফের প্যানেলের লোকজন মিলে (যাদের অনেকে ভোটার নয়) বিএসএএ নির্বাচন বোর্ড, এফবিসিসিআই সহ সর্বশেষ ডিটিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবরে বিভিন্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করে।
যেমন, ডিটিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ ৭ অক্টোবর তারিখে যে ৩ জন ব্যক্তির পত্রের সূত্রে নোটিশ জারি করে একপাক্ষিক প্রহসনমূলক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করেছেন সেখানে আহসান ইকবাল ছাড়া বাকি দুই ব্যক্তি সাকিবুল ও সৈয়দ ইকবাল আলী উক্ত বিএসএএ এর নির্বাচনে ভোটার বা প্রার্থী নন। তাই তাদের সেসব অভিযোগসমূহ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক হওয়ায় তা নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
উক্ত মিথ্যা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন মর্মে বিভিন্ন ভোটার ও প্রার্থীরাও ডিটিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবরে পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন। ঐক্য পরিষদ প্যানেলের প্রার্থীরাও এসব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে ডিটিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একাধিক পত্র মারফতে জানিয়েছেন।
কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করে জারিকৃত নোটিশে সেসব পত্রের কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি, কিংবা কোনো শুনানিতে ঐক্য পরিষদের কোনো প্রার্থীকে মতামত দেওয়ার জন্য ডাকা হয়নি।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও আশ্চর্যের বিষয় হলো ডিটিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক শুধুমাত্র সৈয়দ আরিফের প্যানেলের লোকজনের অভিযোগ আমলে নিয়ে এবং এর বিরোধী জনপ্রিয় প্যানেল ঐক্য পরিষদের চিঠিপত্রের প্রতি কোনো কর্ণপাত না করে এমনকি সৈয়দ আরিফের ও আহসান ইকবাল চৌধুরীর বিরোধী প্যানেলের ভোটার ও প্রার্থীদের কোনো ধরনের সুযোগ না দিয়ে একতরফা ভাবে ষড়যন্ত্রমূলক একপেশে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এভাবে মাত্র ২ দিন আগে নির্বাচন স্থগিত করা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই পক্ষপাতমূলক সিন্ধান্ত প্রত্যাহার করে অতিদ্রুত আসন্ন বিএসএএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা জোর দাবী জানাচ্ছি।

মন্তব্য করুন