চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা না করে আওয়ামী ডামি সরকার আবারো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে সরকারের সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পরিকল্পিতভাবে নানা অঘটন ঘটিয়ে এরই মধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে চিনির দাম। গ্যাস সংকটে দেশের শিল্প কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়িতে বাড়িতে চুলা জ্বলছে না। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে রমজান মাসে ভয়াবহ দুর্ভোগের মধ্যে পড়বে সাধারণ মানুষ। খেজুরের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। শিল্পমন্ত্রী বলছেন, খেজুরের বদলে বরই দিয়ে ইফতার করুন, আঙুর খেজুর লাগবে কেন? এ ধরনের বক্তব্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রতি রসিকতা। ইফতারে খেজুরের পরিবর্তে বরই খাওয়ার পরামর্শ রোজদার মানুষের সঙ্গে এক ধরনের পরিহাস। ডামি সরকারের মন্ত্রীরা গরিব সাধারণ মানুষের সঙ্গে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আচরণ করছেন।
তিনি শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে খাতুনগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, বক্সির হাট ও বদরশাহ মাজার এলাকায় স্থানীয় দোকানদার, পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামের লিফলেট বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, ডামি সরকার মানুষের জরুরি সেবা বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানির সংকটকে ঘনীভূত করেছে। বিদ্যুৎ খাতকে লোপাট করে আইনের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ‘ইনডেমনিটি আইন’ তৈরি করেছে। সবজির ভরা মৌসুমেও পেঁয়াজসহ সব জিনিসের দাম এখন আকাশচুম্বি। বাংলাদেশের ইতিহাসে ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের চড়া মূল্য নজিরবিহীন ঘটনা। রোজার আগে ডিম, মাছ মাংসসহ সব নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ হলো সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের লুটপাট।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মো. কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, মহানগর বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম, হামিদ হোসাইন, থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নুর হোসাইন, মহানগর বিএনপি নেতা একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, ইউছুপ শিকদার, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, আলাউদ্দিন আলি নুর, কাজী শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, এস এম আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ, দিদারুল আলম, দপ্তর সম্পাদক দিপক চৌধুরী কালু, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মো. ইউছুপ, আসাদুর রহমান টিপু, মো. আলাউদ্দীন, মো. সালাউদ্দিন, শেখ রাসেল, মো. হারুন, এন মো. রিমন, আসিফ চৌধুরী লিমন, আরিফুর রহমান মিটু, মো. আনাস প্রমূখ।