ধারাবাহিক সরকারের আরও একটি সফল বাজেট: সৈয়দ নজরুল ইসলাম

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের ঘোষিত বাজেটকে বর্তমান সরকারের আরও একটি জনকল্যাণমুখী, সফল, যুগোপযোগী এবং সুদুর প্রসারী চিন্তা ভাবনার এক সাহসী বাজেট হিসেবে মূল্যায়ন করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ রকম একটি জনবান্ধব বাজেটের জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন- রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইজরাইল-প্যালেস্টাইন দীর্ঘ যুদ্ধের কারণে স্থবির বিশ্ব বাণিজ্য, অর্থনৈতিক মহামন্দা, নতুন মেরুকরণে বড় রাষ্ট্রগুলোর জোর প্রচেষ্ঠা, দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। প্রবাসী আয়েও ব্যাপক ধ্বস, এমনই এক অর্থনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সরকারকে এ বাজেট প্রণয়ন করতে হয়েছে অত্যন্ত সর্তকর্তার সাথে।

সরকারের বিচক্ষণতায় বিশ্ব চলমান অস্থির প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক মহামন্দায়ও সরকার চেষ্ঠা করেছে গণমুখী, জনবান্ধব ও শিল্পবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা। আমাদের দেশ মূলতঃ কৃষি প্রধান দেশ, অতীতের ন্যায় এবারও কৃষি খাতকে অগ্রাধীকার দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা প্রসার, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বাজেটে সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এই বাজেট প্রস্তাবনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনগণের সুরক্ষা ও দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসাবে ভূমিকা রাখবে। এ জন্য তিনি অর্থমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও অভিনন্দন জানান।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম- ঘোষিত বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো দৃষ্টিপাত করে বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটক মোকাবেলায় রপ্তানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার স্বার্থে, জাতীয় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রপ্তানি খাতকে প্রধান্য দিয়ে নিন্মোক্ত বিজিএমইএ’র প্রস্তাবনা সমূহ সংশোধনীর মাধ্যমে বিবেচনা করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
১) উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য ০.৫০% করা।
২) বিকল্প ইনসেনটিভ প্রবর্তন না করা পর্যন্ত (২০২৯ সাল পর্যন্ত) পোশাক খাতের চলমান সকল ইনসেনটিভ অব্যাহত রাখ।
৩) নগদ সহায়তার উপর আরোপকৃত ১০% কর প্রত্যাহার।
৪) পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা।
৫) HS Code ও ওভেন কাপড়ের ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা।
৬) ERQ এর উপর আয়কর ২০% থেকে ১০% করা।
৭) এক্সিট পলিসি এবং এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রবর্তন করা।
৮) নন-কটন বস্ত্র ও পোশাকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বিশেষ নীতি সহায়তা।
৯) শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য ফুড রেশনিং বাবদ বিশেষ বরাদ্দ।
১০) অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির উপর কর রেয়াত।

মন্তব্য করুন