“কুরআন-সুন্নাহর ইজতিহাদের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার অবদান অনস্বীকার্য”

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: ১৯ দিনব্যাপী ৫৪ তম চুনতির ঐতিহাসিক সীরতুন্নবী (সা.) মাহফিলের সমাপনী দিবসের প্রধান অধিবেশন ৩ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে ‘হানাফী মাযহাবের বৈশিষ্ট্যাবলীর বর্ণনা’ শীর্ষক আলোচনায় বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ) বলেন, ইলম-আখলাকে, জ্ঞানে-গুণে ও বোধ-বুদ্ধিতে বিরল প্রতিভার অধিকারী ইমাম আবু হানীফা (রাহ.) ইসলামের ইতিহাসে অতি মর্যাদাবান মনীষী এবং উম্মতে মুহাম্মদী (সা.) এর এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তিনি কমপক্ষে তিনজন সাহাবীর সাক্ষাত প্রাপ্ত তাবেঈ। কুরআন হাদিস গবেষণা তথা ইজতিহাদের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। প্রসিদ্ধ চার ইমামের মাঝে তাঁকেই ‘ইমাম আজম’ তথা শ্রেষ্ঠ ইমাম হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাঁর ঐশী প্রতিভা ও অপূর্ব গবেষণা পদ্ধতির ফলে এ মাযহাব অন্যান্য মাযহাবের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশী মুসলমান হানাফি মাযহাবের অনুসারী। ওসমানী সাম্রাজ্যের অন্তর্গত এলাকাসমূহে আবু হানিফা (রাহ.) এর মাজহাবকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োগ করা হত। যে কোন সমস্যার সমাধান অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফার (রাহ.) এর অনুসৃত নীতি ছিল, প্রথমে কুরআনের শরণাপন্ন হওয়া। কুরআনের পর হাদিস শরীফের আশ্রয় গ্রহণ করা। হাদিসের পর সাহাবায়ে কেরাম গৃহীত নীতির উপর গুরুত্ব দেওয়া। উপরোক্ত তিনটি উৎসের মধ্যে সরাসরি সামাধান পাওয়া না গেলে তিনটি উৎসের আলোকে বিচার-বুদ্ধির (কেয়াসের) প্রয়োগ করা। তাঁর সুস্পস্ট বক্তব্য ছিল, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর যে কোন ধরনের হাদিস বা সাহাবীগণের অভিমতের সাথে যদি আমার কোন বক্তব্যকে সাংঘর্ষিক মনে হয়, তবে আমার বক্তব্য অবশ্য পরিত্যাজ্য হবে। হাদিস এবং আছারে সাহাবা দ্বারা যা প্রমাণিত সেটাই আমার মাযহাব।

সমাপনী দিবস বাদ মাগরিব প্রধান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা মাকছুদুল আলম।
সমাপনী দিবসে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জৈনপুরী দরবারের পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা সাদেকুর রহমান আজহারী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোছাইন।

মন্তব্য করুন