
মোঃ ছরওয়ার কামাল: লোহাগাড়ার পুলিশ কন্সটেবল মাঈনুদ্দীন ও নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায় গত ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টায় নগরীর বহদ্দারহাট কাশবন রেস্তোঁরায় ভূক্তাভোগী নুরুল আমিন ও তার পরিবারবর্গ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।
উক্ত সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মাদ নুরুল আমিনের পক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাঁর ছেলে আরাফাত হোসেন। তিনি বলেন, ভূক্তাভোগী আমার পিতা মোঃ নুরুল আমিন ও আমার ভাই পুলিশ সদস্য মাঈনুদ্দীনকে সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা অত্যাচার, জুলুম নির্যাতন করে আসছে পার্শ্ববতী এলাকার জহির আহমদ ভূট্টু (৩৮) দেলোয়ার হোসেন (৪৫) সিরাজুল ইসলাম (৫৮) মোঃ ইসলাম (৬২) মোঃ ইদ্রিছ (৫৩) তারা সকলেই লোহাগাড়ার বাসিন্দা।
ভূক্তাভোগী মোঃ নুরুল আমিনের ছেলে মাঈনুদ্দীন একজন সরকারী বেতন ভূক্ত পুলিশ কনস্টেবল। পেশাগত কারণে বাড়ীতে থাকে না, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থাকেন, ভূমিদস্যুরা নুরুল আমিনের মৌরুশী ও পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করার চেষ্টা করলে বৃদ্ধ নুরুল আমিন প্রতিবাদ করায় হামলা ও নির্যাতন করে। তিনি জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে লোহাগাড়া থানায় গত ১৩/১২/২০২৪ তারিখ হাজির হয়ে উপরোক্ত ৫ জনকে আসামী করে সাধারণ ডায়েরী করেন, ডায়েরী নং-৬৩/২৪ ।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লেহাগাড়া থানায় ডায়েরী করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীরা আরোও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। ভূক্তাভোগী নুরুল আমিন জানান, তার ছেলে পুলিশ সদস্য মাঈনুদ্দীন একজন সরকারী কর্মচারী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।
আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পারিবারিক ঐতিহ্য ও সুনাম নষ্ট করার উদ্দ্যেশ্যে পুলিশ কনস্টেবল মাঈনুদ্দীনকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত করার প্রতিবাদে আজকে আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে হাজির হয়ে আমার বক্তব্য আপনাদের সামনে পেশ করেছি। আমার বাস্তব সত্য বক্তব্য আপনাদের গণমাধ্যমে প্রকাশ করার অনুরোধ করছি।
আপনাদের সামনে আমার সত্য ঘটনা বিস্তারিত বর্ণনা করছি, আমার পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টায় দীর্ঘদিন লিপ্ত। উপরোক্ত জায়গা দখল করতে আসলে আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধরসহ বিভিন্ন রকমের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমি ও আমার পরিবারবর্গ দীর্ঘদিন যাবত নিরাপত্তাহিনতায় ভুগতেছি।
এই বিষয়ে আমি গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের ধারে ধারে ঘুরে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করি। তারপর আমার প্রতিপক্ষরা বিষয়টি কর্ণপাত করেননি।
আমি বিগত ০৮/১২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০ টায় বিবাদীগণ লোহাগাড়া থানাধীন আধুনগর ইউপি ৪নং ওয়ার্ড, আদর্শ পাড়া, আমার বশত বাড়ীর পিছনে তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে মুরগীর ফার্ম ভেঙ্গে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করে। এইসব বেআইনী কাজের প্রতিবাদ করায় বিবাদীগণ আমাকে ও আমার পরিবারকে মারধর ও গালিগালাজ করেন। এমনকি প্রকাশ্য হুমকি দেয় জানে মেরে ফেলবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে। এইসব ঘটনার পরিপেক্ষিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডায়েরী করি।
বিবাদীগণের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করায় আমি ও আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমার পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি প্রকাশিত সংবাদ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। প্রকাশিত গণমাধ্যমগুলোর নাম দৈনিক খবরপত্র, বাংলাদেশের খবর, সময়ের কাগজ, গণমুক্তি, গণকণ্ঠ, দেশের কন্ঠ, যুগান্তর।
উপরোক্ত পত্রিকায় পুলিশ কন্সটেবল মাঈনুদ্দীন ও নুরুল আমিন সহ পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক।
আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রত্যাহারের আমি জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমি ও আমার পরিবারের পুলিশ কন্সটেবল মাঈনুদ্দীন সরকারী চাকুরীতে অপূরণীয় ক্ষতি হবে। অবিলম্বে উপরোক্ত সংবাদ প্রত্যাহার করা না হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব।