‘অতিতের যেকোনো সময়ের চাইতে গণমাধ্যম অনেক স্বাধীনতা উপভোগ করছে’

অতিতের যে কোন সময়ের চাইতে বর্তমানে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম । সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রধানতম বন্দর ও বাণিজ্য নগরী হিসাবে চট্টগ্রামের গুরুত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদেও ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সম্প্রতি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়াল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ কারিদের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধা গ্রহনের আহ্বানের পাশাপাশি চট্টগ্রামে বিনিয়োগে আহ্বান জানান।

চট্টগ্রামে বিনিয়োগ হলে লাভবান হবে পুরো দেশ। কারন চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির লাইফ লাইন।

ধানমন্ডি ৩২-সহ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ভাঙচুরের পরিস্থিতির জন্য ভারতও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও দায়ী। আমাদের দেশ থেকে যিনি পালিয়ে গিয়েছেন উনাকে আশ্রয় দিয়েছেন, কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন। যার কারণে ভারতে বসে ঘৃণা ছড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এসময় উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে নির্দেশ করা হয়েছে যাতে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হয়, বাংলাদেশের আদালতও বলেছে। বাংলাদেশে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র‍্যাবুনাল কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা ভারতে বসে বসে উস্কানি ছড়াচ্ছেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নোট অব ভারভারাল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এর কোনো প্রতি উত্তর এখনও ভারত জানায়নি। ফলে সেখানে থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্যের কারণে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ভারত আমাদের সাথে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করবে। আমাদের দেশে গণহত্যা যিনি চালিয়েছেন তাকে বিচারের মুখোমুখি করার মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা এটি পূরণে ভারত সহযোগিতা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

উপ প্রেস সচিব আরও বলেন, সাম্প্রতিক ভাঙচুরের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। সরকার একাধিক বিবৃতি দিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার দাভোস সফরে তিনি অনেকগুলো বৈঠক করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র আরো বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার বলেন, পণ্য আমদানির বিভিন্ন ধাপসহ কোথায় কোথায় সঙ্গতি আছে, তা চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা প্রতিবেদন করার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে পারেন।

সরকারের প্রেস উইং গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব খ্যাতনামা সংবাদ মাধ্যমও বাংলাদেশের বিষয়ে অপতথ্য ছড়িয়েছিল। প্রেস উইং এটি শক্তভাবে মোকাবেলা করেছে। সেই সংবাদ মাধ্যম পরে ভুল তথ্য সরিয়ে নিয়েছে।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব ব্যাবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল মনসুর। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান। আলমগির অপু। মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মজুমদার নাজিম উদ্দিন, নুর উদ্দিন আলমীর, হাসান মুকুল, ওয়াহিদ জামান প্রমুখ।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার বলেন এই সরকার বৈষম্য বিরোধী সরকার। সারাদেশে যেন সুষম উন্নয়ন হয় সরকার সে জন্য আন্তরিক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপতথ্য দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন এসব অপতৎপরতা রোধে কার্যকর পদকাক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এব্যপারে তিনি দেশের মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

জাহিদুল করিম কচি তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে দেওয়া বরাদ্দ বাতিল করে চট্টগ্রামের ক্রিড়া সংস্থার অধিনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ডেপুটি প্রেস সচিবের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন