
রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০২৫ উপলক্ষ্যে আজ ১১ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) সাড়ে ১২ টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট, চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান, হাজী দেলোয়ার হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে থাকবে না কোনো বৈষম্য। সকলেই তার নাগরিক অধিকার ভোগ করবে সমানভাবে। আর কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না এই আমাদের প্রত্যাশা করি। ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার আন্দোলনে যুক্ত শহীদদেরও আমরা বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাস, দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হওয়ার মাস। ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমাজে ও রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য শপথ নেওয়ার মাস হচ্ছে এই ফেব্রুয়ারী মাস। রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য যারা ঢাকার রাজপথে জীবন দিয়েছেন তাদের আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
তিনি আরো জানান, রাজধানী ঢাকার পরে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ৭টি বিভাগের মধ্যে সৌন্দর্য, বৈচিত্র্য ও বিশালতায় সমৃদ্ধ। ভূ-প্রাকৃতিক রূপে যেমন এর বিচিত্রতা তেমনি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের ঐশ্বর্যমন্ডিত বৈশিষ্ট্য। পাহাড়, সমুদ্রে এবং উপত্যকা ঘেরা চট্টগ্রাম শহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। শহরমুখী মানুষেরা জীবন ও জীবিকার প্রয়োজন মেটাতে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দিনে দিনে আরো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম। শুধু বাণিজ্যিক রাজধানীই নয় প্রকৃতির অবাধ লীলাভূমি চট্টগ্রামে পর্যটকদের আগমন দিনকে দিন বাড়ছে। চট্টগ্রামবাসীর আবাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রামে আসা পর্যটকদের আবাসন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে রিহ্যাব। চট্টগ্রাম এলাকার আবাসন ব্যবসায়ীদের সর্বপরি চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবাসন খাতকে পরিপূর্ণরূপে সহায়তা দিতে ২০০৬ সালের অক্টোবরে কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রাম রিহ্যাব জোনাল অফিসের। এরপর থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসীর জন্য নান্দনিক ও পরিকল্পিত নগরায়ন রূপান্তরের পাশাপাশি নিরাপদ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে রিহ্যাব।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আজ অবকাঠামোগত দিক দিয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু সামনের দিকে আরো বেশ খানিকটা পথ বাকি। অবকাঠামোগত সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের সাথে বড় সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আবাসন শিল্পের একমাত্র প্রতিষ্ঠান রিহ্যাব। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ আবাসের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তিন দশক এর বেশি সময় ধরে নিরলস ভাবে কাজ করছে রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠান সমূহ। আমাদের ধারাবাহিক কাজের কারণে অনেক নাগরিকের মৌলিক অধিকারের স্বপ্ন সফল হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ পরিবার নিজ ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন।
ঢাকা এবং চট্টগ্রামে নাগরিকদের নিজ ফ্ল্যাটের মালিকানা বাসা ভাড়ার ক্ষেত্রে অনেকটা স্থিতিশীলতা তৈরি করেছিল।
শহরগুলোতে সুন্দর সুন্দর নান্দনিক ভবন তৈরি হচ্ছে আমাদের রিহ্যাব সদস্যদের সৃজনশীল স্থপতিদের মাধ্যমে। বর্তমানে আমাদের বেশ কয়েকজন রিহ্যাব সদস্য অল্প জায়গায় কনডোমোনিয়াম প্রজেক্ট তৈরি করেছেন। অনেকের এই কনডোমোনিয়াম প্রজেক্ট এর মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। যেখানে এক সাথে অধিক সংখ্যক নাগরিক সকল ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। একটা ফ্ল্যাট শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করে না, একটা সামাজিক অবস্থানও তৈরি করে। সেই সাথে নিশ্চিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিনিয়োগ। আমরা আবাসন ব্যবসায়ীরা বাকি নাগরিকদের জন্যও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন আবাসনের ব্যবস্থা করতে চাই। আমাদের সেই সুযোগ দিতে হবে। সেই সুযোগ টা হতে হবে বৈষম্যহীন এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে।
তিনি জানান, নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তাকালে দেখবেন, আমরা শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করছি না। অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছি। সরকারের রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান, রড, সিমেন্ট, টাইলসসহ ২০০ এর অধিক লিংকেজ শিল্প প্রসারের মাধ্যমে সমগ্র নির্মাণ খাত জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সমগ্র নির্মাণ খাতের অবদান প্রায় ১৫%। অর্ধকোটির অধিক শ্রমিকের উপর নির্ভরশীল ২ কোটি লোকের অন্নের যোগান দিয়েছে। আমাদের আবাসন সেক্টর থেকে আয়কৃত অর্থ পুনরায় বিনিয়োগ হচ্ছে অন্য উৎপাদনশীল সেক্টরে। রড সিমেন্টের দাম কমলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আমাদের ডেভেলপার এবং বাড়ির মালিকরা বাড়ি তৈরি করছে না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে থেকেই নানামুখী সংকটে জর্জরিত আবাসন খাত। উচ্চ নিবন্ধন ব্যয় ও সুদের হার বৃদ্ধি এবং নতুন ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক ড্যাপের কারণে দেশে আবাসন খাতে বিনিয়োগ স্থবিরতা চলছে। এর ফলে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। অসংখ্য লোকজন বর্তমানে বেকার। নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে সমস্যা হওয়াতে তলানিতে এসে ঠেকেছে ফ্ল্যাট তৈরি।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে আবাসন খাতের কয়েকটা সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা নতুন বৈষম্যমূলক ড্যাপ। এমন বাস্তবতায় ২০২২ সাল থেকে নতুন বৈষম্যমূলক ড্যাপ এর কার্যক্রম শুরু হয়। ড্যাপের প্রজ্ঞাপন হওয়ার আগে আমরা যে কথা বলে এসেছিলাম সেগুলো এখন সত্য প্রমানিত হচ্ছে। বাড়িভাড়া এবং ফ্ল্যাটের দাম কি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা আপনারা সাংবাদিকরা ভাল বলতে পারবেন। আমাদের কথাগুলো ২ বছরেই সত্য প্রমানিত হয়েছে। আমরা রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে দ্রুত ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) সংশোধন করে ২০০৮ এর বিধিমালা কার্যকর করার দাবি জানাই। প্রতি উপজেলায় গুচ্ছ আকারে ২৫/৩০ টি, ২৫/৩০ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে রিহ্যাব সদস্যদের সহযোগীতা করলে গ্রামে বসবাস করেও আধুনিক শহরের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এতে করে আমাদের এই বিশাল জনসংখ্যার ছোট দেশে কৃষি জমিরও সাশ্রয় হবে।
তিনি জানান, আবাসন খাতের অন্যতম বড় আয়োজন ‘রিহ্যাব চট্টগ্রামে ফেয়ার ২০২৫’ এ আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ২৫ বছর ধরে সফল ভাবে রিহ্যাব ফেয়ারের আয়োজন করে আসছি আমরা। আগেই বলেছি, ড্যাপ এর কারণে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। সামনে হয়তো আরো বাড়বে। গত বছর নির্বাচনের কারণে ফেয়ার হয়নি। আমাদের মনে হয় এক বছর গ্যাপ হওয়ার কারণে এবছর মেলায় লোকসমাগম আরো বেশি হবে।
আশা করছি এবার আমরা একটি সফল ফেয়ার উপহার দিতে পারব। আমাদের সদস্য এবং ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এই ফেয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এক সাথে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই করার সুযোগ রিহ্যাব ফেয়ার ছাড়া সম্ভব নয়। জীবন সংগ্রামের ব্যস্ততায় আমাদের সবার হাতেই এখন সময় কম। তাই কম সময়ে এক ছাদের নিচে সব সেবা পাবেন ক্রেতারা। শুধু ফ্ল্যাট-প্লট ই নয়, এক সাথে গৃহঋণ এবং বাড়ি তৈরির নানা উপকরণও যাচাই করতে পারবেন ক্রেতারা। রিহ্যাব ফেয়ার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মনের মত ফ্ল্যাট বা প্লট খুঁজে নিতে ক্রেতাদের সাহায্য করবে।
২০০১ সাল থেকে ঢাকায় রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার শুরু হয়। এটি চট্টগ্রামে রিহ্যাবের ১৬ তম ফেয়ার। রিহ্যাব ২০০৪ সাল থেকে বিদেশে হাউজিং ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১২ টি, যুক্তরাজ্যে, দুবাই, ইতালীর রোম, কানাডা, সিডনী, কাতারে ১টি করে এবং দুবাইতে ২টি “রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার” সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই সকল ফেয়ার আয়োজনের মাধ্যমে রিহ্যাব দেশে ও বিদেশে গৃহায়ন শিল্পের বাজার সৃষ্টি এবং তা প্রসারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে। অন্যদিকে প্রবাসী ক্রেতারা যেমন দেশে তাদের পছন্দের আবাসন খুঁজে পেয়েছেন। আবার এই ফেয়ারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি গৃহায়ন শিল্প এবং লিংকেজ শিল্প বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে।
তিনি জানান, আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের অবহিত করা যাচ্ছে যে, রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার আগামী ১৩-১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তারিখে রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে। এবারের চট্টগ্রাম ফেয়ারে ৪২টি স্টল থাকছে। এই ফেয়ারে রিহ্যাব সদস্যদের মধ্যে আমরা ২টি গোল্ড স্পন্সর, ১৪টি কো-স্পন্সর সহ আরও ১৬ টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং ৫ টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ৫ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিতে পেরেছি।
রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫ এ গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিঃ ও উইকন প্রপার্টিজ লিঃ। এছাড়া কো-স্পন্সর হিসাবে অংশগ্রহণ করছে নিম্নোক্ত ১৪ টি প্রতিষ্ঠান।
কো-স্পন্সর প্রতিষ্ঠান সমূহ এরিয়েল প্রপার্টিজ লি:, আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিঃ, সিটি হোম প্রপার্টিজ লিঃ, সি এ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিঃ (সিপিডিএল). কনকর্ড রিয়েল এস্টেট লিঃ. এপিক প্রপার্টিজ লিঃ. ইক্যুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিঃ. ফিনলে প্রপাটির্জ লিঃ, জুমাইরাহ হোল্ডিং লিঃ. মুনতাসির লিভিং লিঃ, র্যানকন এফসি প্রপার্টিজ লিঃ. স্যানমার প্রপার্টিজ লিঃ সিকিউর প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিঃ. শাইন ম্যাট্রিক্স বিল্ডার্স লিঃ (এসএমবিএল)
তিনি জানান, এন্ট্রি টিকেট এবং টিকেট কাউন্টার এবং উদ্বোধনী অধিবেশনের স্পন্সর হয়েছে এ্যারিয়েল প্রপার্টিজ লিঃ, মিডিয়া সেন্টার এবং প্রেস কনফারেন্স এর স্পন্সর হয়েছে এ্যামিটি এ্যাপার্টমেন্ট এবং ডেভেলপারস লিঃ, র্যাফেল ড্র স্পন্সর করেছে পার্ল হোমস লিঃ, ইনফরমেশন বুথ ও এন্ট্রি গেইট স্পন্সর হয়েছে স্লাইন ম্যাট্রিক্স বিল্ডার্স লিঃ। এছাড়া এপিক হেলথ কেয়ার এর একটি বুথ থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে।
তিনি জানান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫ এর উদ্বোধনী অধিবেশন-এ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্মানিত মেয়র মহোদয় ডাঃ শাহাদত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মানিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এর সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব হাসিব আজিজ। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১১৪৩০ মিনিটে রেডিসন ব্লু এর মোহনা হল এ ফেয়ারের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা উদ্বোধনীর পর বেলা ২:০০ টা থেকে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। বাকি দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
তিনি জানান, বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় এ বছরের মেলাতেও দুই ধরনের টিকেট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি অপরটি মাল্টিপল এন্ট্রি। সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকেটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকেটের প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল টিকিট দিয়ে দর্শীনার্থী মেলার সময় দর্শনার্থীরা ৪ বার প্রবেশ করতে পারবেন। আগত দর্শকদের জন্য লটারির মাধ্যমে প্রতিদিন থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
আমরা সব সময়ই আপনাদের সহযোগিতা পেয়ে আসছি। এই জন্য আপনাদের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিগত সময়ে আমাদের সকল ফেয়ারের প্রচার ও প্রসারে সার্বিক সহযোগিতা করে আপনারা আমাদেরকে সামনে চলার প্রেরণা যুগিয়েছেন। সাংবাদিকরা সবসময় সমাজের তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রসারের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেন। বিগত ফেয়ারের তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে যে অকুন্ঠ সমর্থন প্রদান করেছেন, আপনাদের সে ভূমিকার প্রতি রিহ্যাব গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল।
আমরা মনে করি যে, “রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০২৫”এর প্রচারে অতীতের চেয়েও বেশি আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা পাবো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব পরিচালক ও রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটি কো-চেয়ারম্যান-১ মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান, সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, সারিস্থ বিনতে নূর, নূর উদ্দিন আহাম্মদ, মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান, মেলা আয়োজক কমিটি সদস্য রেজাউল করিম, মোহাম্মদ জাফর, হৃষিকেশ চৌধুরী, এ এস এম আবদুল গাফফার মিয়াজী, নূর মোহাম্মদ, আশীষ রায় চৌধুরী, এস. এম. আদিবুল হুদা ।