
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানকিছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়কের হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত জায়গা বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা এবং জ ১৬০ সড়কের উন্নয়ন কাজ এর পুরো প্রক্রিয়া পূনতদন্ত করার দাবি জানিয়েছে হাটহাজারীর ব্যবসায়ীবৃন্দ। সকালে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি মহসড়কে এক মানবন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
এসময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গত বছর আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা সমূহ ফ্লাইওভার করা হবে বলে অধিগ্রহন করা হয়। অথচ রাস্তার পূর্ব পাশে সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা এবং সরকারের অন্য সংস্থার জায়গা বেদখল করে আছে বাস মালিক সমিতিসহ বেশ অনেকগুলো অবৈধদখলদার। এমনকি চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের জায়গা দখল করে লোহার পিলার স্থাপন করে রোড দখরে নেয় মালিক সমিতি। রাস্তার উপর আরো দুলাইন করে বাস ফেলে রাখে বাস মালিক সমিতি।
ফলে যানজট দীর্ঘ হয়ে অসহনীয় মাত্রায় চলে যায়। বছরের পর বছর এসব চলে আসলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যত কোন ব্যবস্থা নেইনি। সওজ এর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে অবৈধ দখলদারদের খাতির এর কারণে পার পেয়ে যায় এরা। অতীতে আমরা জানতে পারি তাদের অবৈধ দখলকৃত সম্পদ রক্ষার জন্য পশ্চিম পাশের ব্যক্তিমালাকানাধীন জায়গা অধিগ্রহনের জন্য উঠে পরে লাগে সওজ এর কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
৫ আগষ্ট ২০২৪ এর আগে আমাদের অনিচ্ছা সত্তেও দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে আমরা আমাদের ব্যক্তিমালাকানাধিন জায়গা/ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারকে দিতে সম্মত হই। ৫ আগষ্ট ২০২৪ পট পরিবর্তনের পর আমরা মনে করেছিলাম হয়ত এ অধিগ্রহণ বাতিল করা হবে।
নতুন করে প্ল্যান করে জনগণের জন্য উপকার হয় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ কয়েকজন লোক এসে নিজেদের সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধতন পরিচয় দিয়ে উদ্যত আচরণ করে। শাশিয়ে যায় ৩০ এপ্রিল ২০২৫ সকাল ১০ টায় বিল্ডিং ভাঙ্গা হবে।
এসময় অফিশিয়াল কোন নোটিশ এর কথা নাকচ করে দেন তারা। তারা মোবাইলে একটা পত্র দেখান, যেটাতে লেখা আছে চট্টগ্রাম- হাটাহাজারী-রাঙ্গামটি মহাসড়কের ‘ঘ ১০৬’ রোড এর কথা উল্লেখ আছে, যেটা উনারা ভাঙতে এসেছেন, উল্লেখ আছে-যেখানে অবৈধ দখলদাররা দখল করে আছে।
অথচ আমাদের স্থাপনা গুলো ‘জ ১৬০’হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানকিছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়কের (আর ১৬০) অংশ। আমরা মনে করি উনারা সুনির্দিষ্টভাবে কোন অংশটি ভাঙতে হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন। আমরা এ পত্রের মাধ্যমে একজন নাগরিক হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে ‘জ ১৬০’ হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানকিছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়কের (আর ১৬০) উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাই।
এসময় ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা আমাদের তিলে তিলে গড়ে তোলা সম্পদ/ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে আজ বাকরুদ্ধ। জানি না আমরা ভবিষ্যৎ এ কোথায় গিয়ে দাড়াবো! আদৌ পূনর্বাসিত হতে পারবো কিনা জানি না।
আমরা রাষ্ট্রীয় যে কোন সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে রাজি। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে অবশ্যই আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি আমাদের অন্তত কিছুদিন সময় দেওয়া হোক যাতে আমরা সম্মানের সাথে সুবিধাজনক স্থানে জিনিসপত্র সড়িয়ে নিতে পারি।
একইসাথে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাস্তার পূর্ব পাশে পর্যাপ্ত পরিমান সরকারি জায়গা থাকা সত্তেও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা রাস্তার পশ্চিম পার্শে ব্যক্তিগত সম্পদ অধিগ্রহনে অতি আগ্রহী ছিলেন কিনা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।
অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের সরকারি জায়গায় সড়কের পাশে সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের আবেদন জানাই। এসময় হাটহাজারী এলাকার অন্যান্যেএলাকার ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।