
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, তরুণেরা একটি দেশের নিয়ামক শক্তি। আর এ তারুণ্যকে সঠিকভাবে ও যথাযথভাবে কর্মে লাগানো গেলে দেশ হয়ে উঠবে স্বনির্ভর। দেশের উন্নয়ন কাঠামোয় তরুণরা তাদের উদ্যমী শক্তি প্রয়োগ করে ভবিষ্যতের কান্ডারি হতে পারে, সে জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে চারটি বৃহত্তর ভাগে বিভক্ত করে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির লক্ষ্য হলো তরুণদের জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করা। একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক ও ন্যায্য রাষ্ট্র নির্মাণের ভিত্তি রচনা করা। আমাদের লক্ষ্য কেবল একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ নয়, বরং একটি উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী তথা জনবান্ধব সরকারব্যবস্থার প্রয়াস। যেখানে তরুণেরা কেবল ভোটার নয়, বরং আগামীর নীতিনির্ধারক, চিন্তাশীল অংশীদার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামোর নির্মাতা।
তিনি আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল), বিকাল চারটায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ৯ মে চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনার এবং ১০ মে নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। যেখানে তারুণ্যের অদম্য শক্তি বৈষম্যহীন দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সংগ্রামে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে একটি সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে। এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা- যেখানে বৈষম্যহীন ভালো কাজ, উদ্ভাবন এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি সুস্পষ্ট। আপামর জনগণের সমর্থন এবং তরুণদের নেতৃত্ব আমাদের দেখিয়েছে যে সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রচেষ্টা কিভাবে সমাজকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যেতে পারে। আমাদের লক্ষ্য কেবল একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ নয় বরং একটি উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী তথা জনবান্ধব সরকারব্যবস্থার প্রয়াস। যেখানে তরুণেরা কেবল ভোটার নয়, বরং আগামীর নীতিনির্ধারক, চিন্তাশীল অংশীদার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামোর নির্মাতা।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল করিম পল বলেন, ‘দেশে তরুণ ভোটার চার কোটি। তাঁরা তো নির্বাচনে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবেন। তাঁদের বিষয়ে আমাদের কিছু চিন্তাভাবনা আছে। আগামী নির্বাচনকে টার্গেট বলুন, যেকোনো কাজে তরুণদের প্রাধান্য দিতে হবে। কেউ কেউ এক বা দুজনকে ফোকাস করাতে চাইছে। আমাদেরও মেধাবী আছে, সেটি এখানে ফোকাস করতে চাছি। সব মিলিয়ে এই কর্মসূচির মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাই।
উক্ত প্রস্তুতি সভায় দীপ্তি ও শাহেদ আগামী ৯ ও ১০ মে কর্মসূচি সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের সর্বত্মকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ ও আগামীকাল ১ মে সকাল ১১ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আজম উদ্দিন, যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল করিম, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মো. হারুন, জসিমুল ইসলাম কিশোর, অরুপ বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী সাকি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক হেলাল হোসেন হেলাল, গুলজার হোসেন, নগর যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল পলাশ, আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমেদ খোকন, রাসেল নিজাম, সাবেক সম্পাদক মন্ডলী’র সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, এডভোকেট নাজমুল হাসান সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, গাজী ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতিয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, আসাদুজ্জামান রুবেল, সাবেক সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, কামরুল ইসলাম, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, আরিফ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, হাফেজ কামাল উদ্দিন, মো. সিরাজুল ইসলাম শিকদার, মোহাম্মদ ইদ্রিস, গোলজার হোসেন মিন্টু, নেজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ রাশেদ, হোসেন উজ জামান, নুর জাহেদ বাবলু, সুলতান আহমেদ খান সুমন, মোহাম্মদ ইউসুফ, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সাবেক সদস্য আফসার উদ দোলা অপু, শাবাব ইয়াজদানী, মো. কলিম উল্লাহ, সাইদুল ইসলাম শিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল করিম, আজিজ চৌধুরী, সাখাওয়াত কবীর সুমন, থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, কুতুব উদ্দিন, বজল আহমেদ, খোরশেদ আলম, মোশাররফ আমীন সোহেল, ইসমাইল হোসেন লেদু, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আশিক মল্লিক, শওকত খান রাজু, শেখ রাসেল, হাবিব উল্লাহ খান রাজু, মোহাম্মদ মুছা, মোহাম্মদ রাশেদ, সারোয়ার উদ্দিন, মোহাম্মদ ইয়াছিন, নুর খান, ইউনুছ মুন্না, সাইফুল আলম রুবেল, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, শফিকুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ, আনোয়ার হোসেন, ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আবু বক্কর বাবু, মোহাম্মদ আক্তার, মোহাম্মদ ইউনুছ, মোহাম্মদ মুজাহিদ, আবু তৌহিদ, সোলেমান হোসেন মনা, রাসেল খান, দেলোয়ার হোসেন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।