
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য, ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি, গাজীপুর আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরী-কে মতাদর্শগত কারণে মিথ্যা অপবাদে মব সৃষ্টি করে নির্মম নির্যাতন, পুলিশ হেফাযতে বিনা চিকিৎসায় হত্যার প্রতিবাদে ও খুনীদের শাস্তির দাবীতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে আজ (২ মে ২০২৫ ইংরেজি) শুক্রবার চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ জুমা নামাযের পর প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরীর সভাপতিত্বে সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী।
প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা স.উ.ম আবদুস সামাদ।
সৈয়দ আবু আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এম সোলাইমান ফরিদ, পীর মুফতি গিয়াস উদ্দীন তাহেরী, শাহজাদা আবদুল করিম কতুবী, পীর মাওলানা মনিরুল ইসলাম মুরাদ, এম.এ রহিম, এইচ. এম. মুজিবুল হক শুক্কুর, অধ্যাপক সৈয়দ জালাল উদ্দিন আজহারী, মাওলানা আনিসুজ্জামান, মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ, মাষ্টার আবুল হোসাইন, এম মহিউল আলম চৌধূরী, মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নুরুল হক চিশতি, অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম আবদুল করিম তারেখ, মাওলানা আবদুন্নবী, ফজলুল করিম তালুকদার, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আলমগীর ইসলাম বঈদী, গাজী আবদুর রহিম, হারুন সওদাগর, মাওলানা সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা এনাম রেজা, আহসানুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, মো: এমরানুল ইসলাম, হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দীকী, ইব্রাহিম খলিল, জি.এম শাহাদত হোসাইন মানিক, শাহজাদা নিজামুল করিম সুজন, আদনান তাহসিন আলমদার, নূরের রহমান রণি, শাহেদুল আলম, মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী, মোঃ ওসমান প্রমুখ।
আহলে সুন্নাত চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফী বলেন, বাংলাদেশে এখনও আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত সংখ্যাগরিষ্ঠ। এদেশে ইসলাম প্রচার করেছে আল্লাহর আউলিয়াগণ। সুফিবাদী সুন্নীরা শান্তিপ্রিয়, তাই আমাদের দূর্বল ভাববেন না। দেশে একজন ইমাম-খতিব নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা কোথায়? একজন ইমামকে শুধুমাত্র সুন্নী মতাদর্শের কারণে মিথ্যা অপবাদে হত্যা করবেন, আর আমরা চুপ হয়ে থাকবো, তা ভাবলে আপনারা ভুল করবেন। শহীদ রইস উদ্দীনের খুনীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব অধ্যক্ষ সামাদ বলেন, মব সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে পুলিশ প্রশাসন রইস উদ্দিনকে দোষী প্রমাণে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। তাঁকে মিথ্যা অপবাদে নির্যাতনকারী খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে পুলিশ বৈষম্য করছে। প্রশাসনের এহেন তালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আমরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি, আজ ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। শনিবার লালদীঘির প্রতিবাদ সমাবেশ ও রবিবার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ এর মধ্যে সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়, তবে এরপর দেশব্যাপী হরতাল ও অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দাবি আদায় করব।
বক্তারা বলেন, বৈষম্য মুক্ত রাষ্ট্র গঠনের জন্য অন্তবর্তী সরকার কাজ করে, তবে সুন্নীদের সাথে এত বৈষম্য কেন? কেন রইস হত্যার পর মামলা নেওয়া হলো না? আমরা রাজপথ ছাড়ব না। মাওলানা রইস উদ্দীনের খুনিদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। নেতৃবৃন্দ রইস হত্যার বিচার দাবিতে কাল (শনিবার) লালদীঘি চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ, রবিবার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ সফল করার আহ্বান জানান।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল জমিয়তুল ফালাহ থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।