সিঙ্গাপুর বন্দর সুবিধাকে ব্যবহার করে অনেকদূর এগিয়ে গেছে: আশিক চৌধুরী

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিডা ও বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, শুরুতেই বে-টার্মিনালে দুই বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। প্রথম দুটি টার্মিনালের একটিতে পিএসএ সিঙ্গাপুর এবং দ্বিতীয়টিতে ডিপি ওয়ার্ল্ড দুবাই এক বিলিয়ন ডলার করে মোট দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
২০৩১ সালের মধ্যেই বে-টার্মিনাল অপারেশনে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আশিক চৌধুরী আরও জানান, এতে ২৫ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব তৈরি করবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) বে-টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলে আশিক চৌধুরী। এরপর তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। দুপুরে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন তিনি।

বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রেস ব্রিফিং করবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

আশিক চৌধুরী বলেন, বে-টার্মিনালে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। সিঙ্গাপুর আমাদের সঙ্গে একই সময়ে স্বাধীন হয়েছে। তারা বন্দর সুবিধাকে ব্যবহার করে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। তারা ট্রেডিং হাবে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, সিঙ্গাপুর আমাদের একই সময়ে স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন হয়ে তারা আজকে একটা কমপ্লিটলি ডিফারেন্ট লেভেলে চলে গেছে এবং সেটা চলে যাওয়ার পেছনে তাদের পোর্টের কন্ট্রিবিউশন সবচেয়ে বেশি। তারা তো একটা ট্রেডিং হাবে পরিণত হয়েছে। সুতরাং পিএসএর খুবই ভালো এক্সপেরিয়েন্স।

‘তারা ওই এক্সপেরিয়েন্সটা নিয়ে আসবে, আমাদের সাথে বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো নিয়ে আসবে এবং আমরা এস্টিমেট করছি যে, এই পিএসএ এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড রাফলি এক বিলিয়ন ডলার করে এই প্রজেক্টে ইনভেস্ট করবে। আমরা প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের মতো একটা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের চেহারা দেখতে পাব। এটা গ্রাজুয়ালি আসবে। সো ওনাদের কনস্ট্রাকশন পিরিয়ডের মধ্যে ওনারা গ্রাজুয়ালি ইনভেস্ট করতে থাকবে এবং আমরা আশা করছি যে, ২০৩০ এর মধ্যে এই পোর্টগুলোকে চালু করতে পারব। আমাদের গ্লোবাল ফ্যাক্টরি হতে হবে। বে টার্মিনাল চট্টগ্রাম এলাকার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এটা ফ্লাগশিপ প্রকল্প। এটা যখন হয়ে যাবে, তখন এই এলাকার চেহারা আমরা আশা করছি কমপ্লিটলি চেঞ্জ হয়ে যাবে’।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, এটাই হবে আসল সমুদ্র বন্দর। এখনি ১৩ মিটারের জাহাজ এসেছে পাশে। এটা যুগান্তকারী উন্নয়ন হবে। ২৫ হাজার সরাসরি কর্মসংস্থান হবে। এখানে চারটা টার্মিনাল করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনিশিয়ালি আমাদের তিনটা এপ্রুভ হয়েছে। টার্মিনাল ওয়ান যেটা পিএসএ সিঙ্গাপুর করবে, টার্মিনাল টু যেটা ডিপি ওয়ার্ল্ড করবে এবং টার্মিনাল থ্রি আমরা ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করব, যারা কম্পিট করে আসতে পারে। আরেকটা টার্মিনাল আমরা এনার্জি টার্মিনাল প্ল্যানে রেখেছি। আমাদের যে ক্যাপাসিটি, প্রায় ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন টিইউএস ইজিলি করতে পারব। এটা হয়তো ৪ দশমিক ৫ এর উপরেও চলে যাবে, যদি আমরা এখানে আরো অফডক অন্যান্য ফ্যাসিলিটিসগুলো করতে পারি। গ্রাউন্ড ব্রেকিং এই বছরের শেষের দিকে হবে। ২০৩১ এর মধ্যে আমরা আশা করছি যে অপারেশনে যেতে পারব।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন