
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তনের সুর এখন আরও জোরালো। মাঠপর্যায়ে মানুষের প্রত্যাশা, ক্ষোভ ও দাবি যেন নতুনভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম মহানগরীর পশ্চিম বাকলিয়ায় এক উঠান বৈঠকে বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মো. শামসুল আলম বলেছেন, “জনগণের সমস্যা ও কষ্ট লাঘবে বিএনপি বদ্ধপরিকর। দেশের মানুষ উন্নয়নের গল্প শুনেছে অনেক, এবার তারা বাস্তব উন্নয়ন চায়।”
গতকাল বুধবার রাত ৯ টায় আয়োজিত ওই উঠান বৈঠকটি ছিল স্থানীয় রাজনীতিতে এক প্রাণবন্ত মিলনমেলা। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ একত্র হয়ে এলাকার সমস্যাগুলো নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বিগত ১৭ বছরে বাকলিয়ার রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ও জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হয়নি। নাগরিক দুর্ভোগ যেন প্রতিদিনের সঙ্গী। এ সময় শামসুল আলম বলেন, “বাকলিয়ার মানুষ উন্নয়নের বড় বড় গল্প শুনেছে, কিন্তু হাঁটার মতো রাস্তাও নেই। এই বাস্তবতা পরিবর্তন করতে হলে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই।”
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এই নেতা আরও জানান, বিএনপি সরকার গঠন করলে স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, ড্রেনেজ সংস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসন, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং মাদক সমস্যা সমাধানেকে অগ্রাধিকারে রাখা হবে। তিনি বলেন, “মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধান না হলে উন্নয়ন শুধু পোস্টারেই থাকবে, বাস্তবে নয়।”
তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি আলোচনায় উঠান বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা জাতীয় পুনর্গঠন কর্মসূচি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। স্থানীয় নেতারা বলেন, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নই দেশের সার্বিক পুনর্জাগরণের পথ খুলে দেবে।
উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শেখ আলাউদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মো. সেকান্দর, ফরিদুল হক লিটন, হাজী এমরান উদ্দিন, আব্দুল কাদের, মহিউদ্দিন মিজান, রাজা মিয়া, শহিদ কাজেমী, এস এম ফারুক, আব্দুর সবুর, মাহমুদুর রহমান পাখি, মো. রায়হান (বাকলিয়া থানা যুবদল), মো. বাবলু (১৭ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক), সদস্য সচিব মো. ফারুক, জাহেদ, জনি, সাইফুলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকটি শেষ হয় প্রাণবন্ত মতবিনিময় ও অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে। উপস্থিত মানুষরা তাদের এলাকার নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরে দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ছোট পরিসরের উঠান বৈঠকগুলোই মাঠপর্যায়ে বিএনপির পুনর্গঠনের নতুন গতিপ্রবাহের সূচক হতে পারে।









