নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামের ১৭টিসহ ১৫৭ প্রকল্পের ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলার ১৭টিসহ মোট ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪টি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ প্রকল্পগুলোর ব্যয় ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। আজ ১৪ নভেম্বর সকালে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এ প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় গণভবনের সঙ্গে ৬৪ টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সারাদেশে ১০১টি প্রান্ত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিল। ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চট্টগ্রামের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তরকৃত প্রকল্পগুলো হচ্ছে-পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ‘বে-টার্মিনাল’ শীর্ষক প্রকল্প পিপিপি প্রকল্প, চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনীতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়ীতে সরকারী আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরী ভবন নির্মাণ (বিভিন্ন সংখ্যক তলা বিশিষ্ট ১৫টি ভবন) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪টি ভবনে ১৬০টি ফ্ল্যাট ও ৬৪টি ডরমিটরী, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, এশিয়ান ইউনিভার্র্সিটি ফর উইমেন এর বহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাংক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সড়ক নির্মাণ, সিরাজউদ্দোলা রোড হতে শাহ আমানত ব্রীজ সংযোগ সড়ক পর্যন্ত জানে আলম সড়ক নির্মাণ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, চট্টগ্রাম-ফেনী বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপ লাইন নির্মাণ, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল-এর জন্য গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়ক (এন-০১) এর ২৫২তম কিলোমিটারে মুরালী খালের উপর ১২১ মিটার দীর্ঘ ভেল্লাপাড়া সেতু নির্মাণ, সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ, নির্বাচিত বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন, নির্বাচিত মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ এবং মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে আমান উল্লাহ ভূঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক (ওয়ার্ড নং-১) নির্মাণ কাজ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এ প্রকল্পগুলো উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম প্রান্তে সংযুক্ত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ ইসমাইল খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগর ইউনিট কমান্ডের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে দেশে ১১ জেলার সাতটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে দেশের ৩২টি জেলা ও ৩৯৪টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হলো বলেও জানান তিনি। ৪র্থ পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে চন্দনাইশে ৩৫টি, বাঁশখালীতে ৪৬টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টি পরিবারসহ মোট ২৬৭টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়। একইসাথে বাঁশখালী, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করা হয়।

এসব প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পৌঁছানোর জন্য পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গ তুলে ধরে আন্দোলনের নামে উন্নয়ন ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

এ সময় আন্দোলনকারীদের সুমতি প্রত্যাশা করেন এবং দেশবাসীকে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

মন্তব্য করুন