
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের জনমনে রাজনীতির প্রতি, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আস্থার সংকট বিদ্যমান। জনমনে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তার জন্য রাজৈিনতক দলগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।
এতে করে আগামী নির্বাচনে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, বিজ্ঞ এবং মেধাবী সর্বজন স্বীকৃত জনপ্রতিনিধি দেখতে পাবো। আমাদের প্রত্যাশা, যারা জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন তাদের সকলের জীবনী জনসম্মুখে প্রকাশ করবে নির্বাচনের অনন্ত ছয় মাস আগে।
তারা কিভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করেছেন সেটা জনগণকে জানাতে। এসব করতে সরকারকে আমরা বিনামূল্যে তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তা দিব।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র তানভীর কাদের খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর মুহাম্মদ এনামুর রশীদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, ক্যাব নেতা কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক প্ল্যাটফর্মের উপদেষ্টা এজেএম গিয়াসউদ্দীন, চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ওয়াহেদ ফয়েজ, সমউনুল ইসলাম সুমন, মো. জনাব আলী, আবছার উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী পিলু, আবদুর রহিম, সাখাওয়াত হোসেন খান, রোটারিয়ান জসিম উদ্দীন চৌধুরী, আবদুল কাদের সিকদার প্রমুখ।
তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে আমরা দেখেছি কালো টাকার মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। দলের টিকিট পেতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। টাকা দিয়ে মনোনয়নের পাশাপাশি ভোট কেনারও একটা প্রবণতা রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার নামেও কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। মূলত অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বেশিরভাগই প্রার্থী টাকা আয় করে, যার কারণে এভাবে ব্যয় করতে পারে। যার কারণে এসব প্রার্থী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে যে টাকা খরচ করেছে তার চেয়ে কয়েকগুন টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করে। যার কারণে দিন দিন দেশে দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারীর সংখ্যা বাড়ছে।
তাই আমরা আগামী এমন প্রার্থী চাই না, আমরা চাই মেধাবী, যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী, আর্থিতভাবে শক্তিশালী না হলেও নীতিগতভাবে শক্তিশালী প্রার্থী। তাই আমরা এবারে নির্বাচনে যে সব দল অংশ নিবেন, তাদের অনুরোধ করবো অনন্ত্য নির্বাচনের ছয় মাস আগে দলীয় প্রার্থী প্রকাশ করার জন্য। যেন এসব প্রার্থী সম্পর্কে জনগণ জানতে পারে।