চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ছয় লাইনের সড়ক চাই: নাজমুল মোস্তফা আমিন

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ছয় লাইনের সড়কের দাবি জানিয়েছেন লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও সড়কটি প্রশস্ত করা হয়নি। মহাসড়ক বললেও এটা আসলে মহাসড়ক না। বেশিরভাগ অংশে সড়ক মাত্র ২ লাইন। সড়কের জাঙ্গালিয়া, চকরিয়ার কচ্ছপিয়া এবং বানিয়াছড়া ঢালা এই তিন স্থান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই রাস্তা প্রশস্ত করা খুবই জরুরী। আমরা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ছয় লাইন বিশিষ্ট সড়ক চাই। পরবর্তী একনেক সভায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার সড়ক ৬ লেইন করার বিষয়টি অনুমোদন দিতে হবে। চার লাইনের কথা বলে আমাদের সন্তুষ্ট করা যাবে না। এই সড়কে দুর্ঘটনা বন্ধে অবিলম্বে রাস্তার মাঝে ডিভাইডার দিয়ে ৬ লেইনের রাস্তা করতে হবে, অন্যতায় হরতাল অবরোধের মতো বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আমরা চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

তিনি বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে লোহাগাড়া চুনতির ফোর সিজন হোটেলের সামনে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রানহানি এবং দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন।

লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন ও চুনতি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক নুর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর সার্বিক তত্বাবধানে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে সাংবাদিক পেশাজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

এসময় নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, অত্যন্ত সরু সংকীর্ণ এই রাস্তায় একটি গাড়ি আরেকটির পাশ হওয়ার মতো জায়গা নেই। যার কারণে এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। আমাদের দাবি তিনটি। অতি দ্রুত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কার্যাদেশ দিয়ে অন্তত এক কিলোমিটার চার লাইন বিশিষ্ট সড়কের কাজ শুরু করতে হবে। যেই সমস্ত যানজটপূর্ণ এলাকা সেগুলোকে চিহ্নিত করে সেখানে ওভারপাস আন্ডারপাস এবং প্রশাসন পুলিশের উপস্থিতি দিয়ে যাতে একটা গাড়িও দুর্ঘটনার শিকার না হয়। যে সকল চিহ্নিত চার লাইন বিশিষ্ট সড়ক সেগুলোর মধ্যমেয়াদি প্রকল্প আমরা চাই, এটা আসাদের প্রাণের দাবি।

কক্সবাজারে যেতে মানুষের মনে এখন ভয় কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যতম পর্যটক স্পট কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সেখানে যাওয়ার জন্য মানুষ আজ ভীত। এ অঞ্চলের মানুষ এখন কক্সবাজার যাচ্ছে না। কারণ তারা এখন শঙ্কায় আছেন যাওয়ার সময় এবং আসার সময় যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় তিন দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ওই এলাকার উঁচু নিচু সড়কে বাঁকগুলো খুব বিপদজনক। এছাড়া কক্সবাজার থেকে লবণের ট্রাক ও কাদামাটি নিয়ে ডাম্প ট্রাক আসে। তাই সকালের দিকে রাস্তা লবণের পানি ও কাদায় পিচ্ছিল থাকে। দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আসা চালকরা অপ্রশস্ত এ অচেনা সড়কে দুর্ঘটনায় পড়ছেন। এখানে যে বাঁকগুলো আছে, সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা দরকার।

মন্তব্য করুন