
কাজী ইব্রাহিম সেলিম: চট্টগ্রাম নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায়, এক্সেস রোড এলাকায়, ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায়, পিলখানা এলাকায়, ও আসকার দিঘী এলাকায়সহ নানা জায়গায় চাঁদাবাজী-দখলবাজী, খুন-গ-গোলের ঘটনায় মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায়: মো. আসলাম, মনির চৌধুরী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, হাবীবুর রহমান মিন্টু, রাশেদুল আজিজ, মো. জাহেদসহ আরো অনেক ভাল ভাল ত্যাগী নেতা-কর্মী থাকা সত্ত্বেও, দু’একজন পাতিনেতার বেপরোয়া দখলবাজীতে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। সেজন্য, সিটি মেয়র ও দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী। মানুষের কবলামূলে মালিকানা জায়গা জবর দখলের চেষ্টা ও মৌরশী এখোয়ারকৃত খ-টিও বিএনপি নামধারী কয়েকজন দখলবাজের মাধ্যমে জামশেদ নামক একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জবর দখল করতে চাইলে ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা বিএনপি সমর্থিত লোকগুলোকে আওয়ামী লীগ করে অপবাদে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। সিডিএর লোকজনের মাধ্যমেও অপকৌশলে সুযোগ নেওয়ার ভয়-ভীতি দেন।…মওনা,..সাওখী নামের এসব বিএনপির নামধারী লোকজনই ভুক্তভোগীকে গরীব ও দুর্বল দেখে জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২ কড়া কবলামূলে মালিকানা জায়গাসহ ভুক্তভোগীর মৌরশী এখোয়ারকৃত খ- জায়গাটা ক্ষুদ্র হলেও এটি জবর দখল করতে গেলে দখলবাজ হিসেবে দুর্নামটা হবে অনেক বেশি, সে ভয়ে অতীতে আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর মোবারক আলীর লোকজন ক্ষমতায় থাকাবস্থায়ও এটি দখলের চেষ্টা করেও অবস্থা বুঝে দ্রুত পিচু হটে বুদ্ধিমানের পরিচয় দেন। কিন্তু বর্তমানে ১৭ বছরের ক্ষুধার্ত লোকগুলো লোভ সামলাতে না পেরে ক্ষমতায় না থাকাবস্থায়ও বারবার জবর দখলের চেষ্টা চালিয়েছে বিধায়, সে অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগী এক মহিলাকে সিটি মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন সঙ্গে সাক্ষতের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা, মেয়রের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগের উপর অভিযোগ দেওয়া, কার্যালয়ে মেয়রের লোকজন ও পিএসকে অসহায় এ ব্দ্ধৃা মহিলা কাঁন্না-কাটি করে বিএনপি নামধারী এ কর্মীদের জুলুম-অত্যাচারের বিষয়টা জানাতে দেখা গেছে। কিন্তু তারা এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর হতে ও মেয়রের মাধ্যমে প্রতিকারের দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি! ওই সময় পুলিশ এলে ১/৬/২৫ সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা জায়গাটি (এস আই নয়নকে) ভুক্তভোগী সরেজমিনে দেখালে ওইদিন রাত ৮ টায় থানায় ওই মহিলার দলিলপত্র ও সার্ভেয়ারের দেওয়া কপিতে মহিলার ৪৪৫০, ৪৪৫১, ৪৪৫২ দাগ থেকে জামশেদের ৪৪৫৭ দাগের জায়গাটি আরেক পাশে দেখে (এস আই ছালে) বলেন, ‘সেই জায়গাটি মহিলারই প্রাপ্য।’ আরেক পাশের ৪৪৫৭ দাগের জামশেদ এটাতে সমস্যার সৃষ্টি করার প্রশ্নই আসেনা। পুলিশের (এস আই নয়ন ও ছালের) ন্যায়নিষ্ঠতার বিষয়টিও মহিলা লিখিতভাবে মেয়রের কার্যালয়ে জমা করেছেন। মেয়রের সমর্থিত বিএনপির এ লোকগুলোও যদি জামশেদের থেকে টাকা না খাইতেন, তাহলে তারাও পুলিশের (এসআই নয়ন ও ছালের) মতো সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকতেন, এটিতে নেতা-কর্মীর ভাল কাজের মাধ্যমে বিএনপি জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠতেন, সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খুন-খারাবী, চাঁদাবাজী-দখলবাজীর অভিযোগে এভাবে আলোচনায় আসতো না! ওই সময় জামশেদ থানায় বৈঠকে পুলিশের এস আই ছালের সামনে ভুক্তভোগীকে কথা দিয়েছেন, সে ১ সপ্তাহের মধ্যে জায়গাটা সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে দেখবেন। কিন্তু সে অনেক আগের থেকে সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে দেখে খ-টিতে তার ৪৪৫৭ দাগের জায়গা নেই, সেটা তার জানা আছে বিধায় সে তার কথামতো সপ্তাহের মধ্যে জায়গাটি মেপে দেখছে না। এখন সাপ্তাহ পেরিয়ে ৫ মাসের মধ্যেও মাপছেন না। এসআই ছালের সঙ্গে সাক্ষাৎও করছেন না। খ-টিতে যে তার জায়গা নেই তা স্বীকার করে নেয় কিনা জানতে ভুক্তভোগী তার নিকট গেলে সে দেখাও করছেনা। শুধু অর্থের বিনিময়ে বিএনপি নামধারী কয়েকজন দখলবাজদের মাধ্যমে জবর দখলের গান গেয়েই যাচ্ছে। এভাবে পুরো দেশজুড়ে বিএনপির মাঝে সমস্যার সমাধান ও শান্তি খোঁজে পাওয়ার আশাবাদী মানুষগুলো আজ কিছু পাতিনেতার চাঁদাবাজী-দখলবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে বিএনপির প্রতি ভরসা হারিয়ে ফেলেছে।
নগরীর এক্সেস রোড এলাকায় : সিটি মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন তার ছবি ব্যবহার করে নগরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস, দখল-চাঁদাবাজদের টাঙানো ব্যানার তুলে ফেলার নির্দেশ দেন। মেয়রের নির্দেশে সাহাদাত ও সিরাজের ছবিসহ বোরহানের ব্যানার তুলে ফেলায় বাধে গ-গোল। বোরহান ও সোহেলদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন এমদাদুলের অনুসারী ছাত্রদল কর্মী মো.সাজ্জাদ (২২), গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এমদাদুল হক বাদশা দখল-চাঁদাবাজীর অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার হন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। সিটি মেয়র ডঃ সাহাদাত হোসেন, বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিনকে দোষারোপ করে বলেন, ঘটনার এক সপ্তাহ আগেও তিনি বোরহান ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে বলেছিলেন। এমনকি ঘটনারদিন কিছু লোক এলাকাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে, গ-গোল হতে পারে তা সিটি মেয়রকে জানালে। মেয়র ঘটনার ১ ঘন্টা আগেও সিএমপির কমিশনারের মাধ্যমে (ওসিকে) বলার পরও কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বিধায় এ হত্যাক-ের ঘটনাটা ঘটেছে। তাহলে এ খুনের জন্য কে হবেন দায়ী? তবে শেষ চেষ্টা চালিয়েও নাগরিকের জীবন বাঁচাতে না পারলেও সাধুবাদ সেই মানুষের যান-মালের নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টাকারী নেতার প্রতি।
নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায়: বিএনপির কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে গিয়ে দোকান-পাটও ভাঙ্গচুর করেছে। আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদের সড়ক অবরোধ করলে জনদুর্ভোগও সৃষ্টি হয়েছে। ওই সময় তারা সন্ত্রাসীদের আস্তানা-আওয়ামী লীগের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও স্লোগান দিলেও প্রকৃত পক্ষে তারা দখলকৃত একটি দোকান ভাঙ্গচুর করেছে ও দোকানটিতে টাঙানো বিএনপির নেতার ছবি-ব্যানার ছিড়ে ফেলতে দেখাগেছে। সেজন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করেন, আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ, মাঠে-ময়দানে না থাকায় সুযোগে চাঁদাবাজীর উদ্দেশ্যে এলাকা দখলের জন্য বিএনপির লোকজনকে বিএনপিই কুপিয়েছে।
চট্টগ্রামের পিলখানা এলাকায়: এলাকাবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, চাঁদাবাজী-দখলবাজীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কমিটির মঞ্চ গঠন করে সভা-সমাবেশ করতে দেখা গেছে।
নগরীর আসকার দিঘী এলাকায়: সংখ্যালঘু নাগরিক থানা পুলিশের আশ্রয় নিয়ে কয়েক মাসের জন্য দখল কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে একদিন সিটি মেয়র ওই এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে গেলে, সেখান থেকে বিএনপির নেতার অনুরোধে জায়গাটিতে মেয়রের উপস্থিতি, এরপরই দেখাগেল…হয়েগেছে। এর মাসখানেক পর দেখাগেল এখই কায়দায় জায়গাটির পাশেও দখল করা শুরু করেছে। সেজন্য, আবারো থানা পুলিশের আশ্রয়ে দখল কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এবার সংখ্যালঘু সুচতুর ওই বাড়িওয়ালা ঝুঁকি নিয়ে ওই দখলকৃত কাঠগুলো ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছে, ও তার বাড়ির সামনের জায়গাটিতে দ্রুত বাড়ির চলাচলের রাস্তা করে নিয়ে রেহায় পেলেন।
সাধারণ মানুষ পথে-ঘাটে হাঁটা-চলার সময় এসব দৃশ্য দেখতে পায়, চায়ের দোকানে বসা মানুষগুলো মুখে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে শুনা যায়। সেজন্য, এখন থেকে কঠোর নজরদারীতে না রাখা হলে তারা আরো বেপরোয়া চাঁদাবাজী-দখলবাজীতে জড়িয়ে পড়বে। এটিতে বিএনপির জন্য বড়ধরণের অমঙ্গল বয়ে আনবে। তাই তাদের কঠোর হস্তে দমানো সম্ভব হলেই, বিএনপি জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠে জনগণের ভোটে বিজয়ী হওয়া সম্ভব মনে করেন সচেতন মহল।









