
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সংসদ নির্বাচন অনিশ্চিত করার প্রজেক্ট প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ভেস্তে যাওয়ায় প্রজেক্ট উদ্যোক্তারা বিচলিত হয়ে পড়েছে। নির্বাচন বানচাল করার প্রজেক্ট বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের নিরপেক্ষতাকে কটাক্ষ করতেও দ্বিধা করছেনা।অথচ বিএনপি সর্বাপেক্ষা বড় ও জনপ্রিয় দল হওয়া সত্ত্বেও জুলাই সনদ আদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণের বৃহত্তর স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপি জুলাই সনদ, বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ ও তারেক রহমানের রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে অংগীকারাবদ্ধ। বিএনপি অভিজ্ঞ ও জনগণের আস্থা অর্জনকারী একটি রাজনৈতিক দল। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপি সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি নিরাপদ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে বদ্ধপরিকর। বিএনপির কাছে সবার উপরে বাংলাদেশ।
তিনি সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর নতুন রেল স্টেশনের সামনে চট্টগ্রাম ৯ সংসদীয় আসনের ভোটারদের ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আলকরন ওয়ার্ডে গনসংযোগ পরবর্তী পথসভায় এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নগরীর নতুন রেল স্টেশনের সামনে থেকে শুরু করে স্টেশন রোড়, পুরাতন রেল স্টেশন, ফলমন্ডি, বিআরটিসি এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরন ও গণসংযোগ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার অপব্যবহার, দমন পীড়ন ও স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে বিএনপি দেশে একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নতুন বাংলাদেশই হবে আমাদের প্রতিশ্রুতি।
তিনি ঘরে ঘরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিতে এবং ধানের শীষে ভোট চাইতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
আলকরন ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আবদুল মন্নানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সংগ্রামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক হকার্স বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাতেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম খাঁন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, আবদুস শুক্কুর, জসিম উদ্দিন, আবুল কালাম, মো. রিয়াদ, হাজী ইদ্রিস, মো. রাশেদ, আবু জাফর মো. সাদেক, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সালেহ আহমদ, মো. বেলাল, মো. আকরাম, মিজানুর রহমান, মাঈন উদ্দিন, আবদুল মোতালেব, মো. ইউসুফ, মো. সেলিম, মো. বাবুল, মো. আসরাফুল, মো. ফারুক, আবুল কাশেম, মো. বাহার প্রমুখ।









