“সাসটেইনেবিলিটি ও জলবায়ু কার্যক্রমে কারখানাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি” প্রকল্পের উদ্বোধন

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিজিএমইএ এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর যৌথ উদ্যোগে এবং ডেনিশ এ্যাম্বাসি অর্থায়নে তৈরি পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু কার্যক্রমে কারখানাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবায়িত “Sustainability & Climate Action: Strengthening Factory Readiness” প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গতকাল ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় বিজিএমইএ ভবন, চট্টগ্রাম-এর মাহাবুব আলী হলে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র পরিচালক ও প্রকল্পের ডাইরেক্টর ইনচার্জ শেখ হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজ বলেন, এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে ইএসজি ও ডাটা-নির্ভর কার্যক্রম তৈরি পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, “ডাটাই হলো ভবিষ্যৎ”-কারণ উৎপাদন থেকে শুরু করে সরবরাহ শৃঙ্খল, দক্ষতা উন্নয়ন ও বাজার ধরে রাখার প্রতিটি ধাপেই ডাটার গুরুত্ব বাড়ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালক এম. এম. মহিউদ্দীন চৌধুরী, সাকিফ আহমেদ সালাম ও এনামুল আজিজ চৌধুরী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ আতিক, বিজিএমইএ’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ ওয়াদুদ মোহাং চৌধুরী, কাজী মো. শফিকুল ইসলাম (টিটু), শিব্বির আহমেদ, মোঃ ইমাম হোসেন, শাহেদ তৌহিদুল ইসলাম, ফয়জুল মতিন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় একটি অভিজ্ঞ এনার্জি অ্যাসেসমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট কারখানায় সরাসরি অবস্থান করে বিনা খরচে তথ্য সংগ্রহ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মূল্যায়ন শেষে বিদ্যুৎ সাশ্রয়, উৎপাদন খরচ হ্রাস এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে করণীয় বিষয়ে একটি বিস্তারিত লিখিত প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।

বিজিএমইএ’র পরিচালক এম. এম. মহিউদ্দীন চৌধুরী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে পোশাক শিল্পে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ডাটা-কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ অপরিহার্য হবে। তিনি বলেন, তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনাই শিল্পের স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতা বাড়াবে।

সমাপনী বক্তব্যে বিজিএমইএ’র পরিচালক সাকিফ আহমেদ সালাম বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পকে একটি ডাটা-ফোকাসড ইকোসিস্টেমে রূপান্তর করতে হবে, যেখানে ডাটা ব্যবহার করে খরচ কমানো, মুনাফা সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ অর্ডার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উল্লেখ করা হয় যে, এনার্জি এফিসিয়েন্সি বৃদ্ধি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং সৌরশক্তির ব্যবহার উৎপাদন খরচ কমানোর পাশাপাশি পরিবেশগত প্রভাব হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মন্তব্য করুন