
নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বেশ কিছু দিন ধরে চলমান চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের আন্দোলনকে পুঁজি করে এবং সাধারন কর্মচারীদের সম্মুখে রেখে কিছু সংখ্যক অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন সময় নানা অনৈতিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে সেবার কর্মসূচি বাদ দিয়ে কতিপয় কর্মকর্তারা বিভিন্ন উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ হাসপাতালের কর্মচারীদের হয়রানি করছে। আন্দোলনের মুল উদ্দশ্য ফ্যাসিবাদী কিংবা দূর্নীতিবাজ হটাও হলেও এখন ব্যক্তিগত সুবিধা নেয়াটাই তাদের লক্ষ হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় আন্দোলনে নেতৃত্ব যারা রয়েছে তাদের নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা কারন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ফ্যাসিবাদের দোষররাই।
এমনকি ৫ আগষ্টের ছাত্র আন্দোলনে বাধাপ্রধানকারী ও চট্টগ্রাম সিআরবিতে ছাত্রদের উপর হামলাকারীদের কয়েকজন রয়েছে এ হাসপাতালের আন্দোলনে।তাদের মধ্যে শাওন হোসেন যে চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন কারী।শুধু তাই নয় ৫ আগস্টে ছাত্রদের উপর হামলাকারীদের অন্যতম নেতৃত্ব প্রধানকারী শাওন।এমনকি এই শাওন চট্টগ্রামে সিআরবি ডাবল মার্ডার আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের ঘনিষ্ঠ ভাজন। সেই শাওন কিভাবে ডায়াবেটিস হাসপাতালে ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মুল হোতা হয় এই নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উৎপত্তি হয়েছে। এমনকি পাঁচ আগস্টের পর সারাদেশে যখন লুটপাট হয় তখন ডাইবেটিস হাসপাতালের লুটপাট নিয়ে ও তার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ।
এছাড়াও আন্দোলনের নেতৃত্বের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা চলছে তাদের মধ্যে রবিউল হোসেন,হাবীব,খসরু সহ আরো অনেকেই ৫ আগষ্টের পর দূর্নীতিবাজূের খোলস পাল্টে হয়ে গেছেন দূর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী।
এবিষয়ে নগরীর নবনিযুক্ত মেয়র ডা.শাহাদাতসহ চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করেন সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাদের দাবী আন্দোলনের আড়ালে যেনো সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগ না পায় এবং এক অপরাধের বিরুদ্ধে অন্য অপরাধীরা বহাল তবিয়তে খোলস পাল্টানোর সুযোগ না পায়।