নিউজগার্ডেন ডেস্ক: কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুর (শাহ আমানত সেতু) দক্ষিণ মুখে টোল বক্সের পার্শ্ববর্তী নির্ধারিত স্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্থাপিত সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর নামফলকটি তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ- এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চেযারম্যান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলমগীর নূর’র নেতৃত্বে আজ ১ নভেম্বর, শুক্রবার বেলা ১২ টায় পুনঃস্থাপন করা হয়।
নামফলক পুনঃস্থাপন শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ গত ১৭ বছরে বিএনপির নেতৃত্বে পতিত স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনেসহ জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুম, নিহত-আহত-নির্যাতিতদের জন্য সর্বোপরি দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য ফাতেহা শরিফ পাঠ ও বিশেষভাবে দোয়া, মোনাজাত করা হয়।
বেগম জিয়ার নামফলক পুনঃস্থাপন কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা কেন্দ্রের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জান্নাতুন নঈম চৌধুরী রিকু, বাকলিয়া থানা বিএনপি নেতা তাহের জামাল চৌধুরী, সংগঠনের দক্ষিণ জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ ইকবাল হোসেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিণিধি যুবনেতা হান্নান রহিম তালুকদার, গবেষণা কেন্দ্রের বাকলিয়া থানা কমিটির সভানেত্রী কামরুন্নেছা, মোঃ ফারুক, ইকবাল হোসেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোঃ মুছা, সালাউদ্দিন, খোরশেদ আলম প্রমূখ।
২০১০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসকের দোসররা ফলকটি ভেঙ্গে ফেলার দীর্ঘ ১৪ বছর পরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুতে (শাহ আমানত সেতু) সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থাপন করা ভিত্তিপ্রস্তরের নামফলকটি পুনঃস্থাপন করেন তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ- এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চেযারম্যান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলমগীর নূর।
উল্লেখ্য যে, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক গণতন্ত্রের আইকনিক মজলুম নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত ১৯ এপ্রিল, ২০০৬ ইং তারিখে উক্ত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রসঙ্গতঃ বলতে হয়, চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর নির্মাণের পুরো কৃতিত্ব খালেদা জিয়া ও বিএনপির। কুয়েতের আমীরের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া নিজে আলোচনা করে এই সেতুর পুরো অর্থায়ন নিশ্চিত করেন। সেতুর ৮০ ভাগ কাজ বিএনপির আমলেই শেষ হয়।
“তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলে থাকার সময় আওয়ামী লীগ এই সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলো এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যেদিন সেতুটির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপন করতে চট্টগ্রাম আসেন, সেদিন চট্টগ্রামে হরতাল ডেকেছিলো পতিত স্বৈরাচারের দল আওয়ামী লীগ। কিন্তু, শত বাধার মধ্যেও বেগম খালেদা জিয়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ থেকে সরে আসেননি।”